নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:এক রাতের বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা। উত্তর কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল জলমগ্ন। ঠনঠনিয়া, কালাকার স্ট্রিট, মহাত্মা গাঁধী রোড, কলেজ স্ট্রিট, মধ্য কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ, তারাতলা, নিউ আলিপুর জলমগ্ন। নিউ আলিপুরে রাস্তায় ভেঙে পড়েছে গাছ। বুধবারও সারাদিন বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।একাধিক রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা আটকে বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, একাধিক এলাকায় ছিঁড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তারও। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিপত্তি ঠেকাতে তৎপর প্রশাসন। যানজটে নাগাল হচ্ছেন অফিসযাত্রীরা।
আহিরিটোলা স্ট্রিটে একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে চলে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, সাংসদ শশী পাঁজা। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সেখানে পৌঁছে যায়। ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার একই পরিবারের চারজন। এর মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা সম্ভব হলেও শিশু সহ এক বৃদ্ধার এখনও ভাঙা অংশের তলায় চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা।
সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ৯ নম্বর আহিরীটোলা লেনের ওই দোতলা বাড়িটিকে পুরসভার তরফে আগেই বিপজ্জনক হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। পুরসভা মনে করছে, টানা বৃষ্টিতে বাড়ির ভিত দূর্বল হয়ে যাওয়ায় সেটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে পৌঁছন মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং সুজিত বসু। পৌঁছন কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র। ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করতে ব্যবহার করা হয় গ্যাস কাটার। উদ্ধার হওয়া সদস্যদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা। বুধবার তাঁর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল বলে খবর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দু বছরের এক শিশুকন্যাও ধ্বংসস্তুপের তলায় আটকে রয়েছে।
বিস্তারিত আসছে…