এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জোয়ার বেলায় ল্যান্ডফল সিত্রাংয়ের, জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: আম্ফানের স্মৃতি এখনও টাটকা কলকাতাবাসীর। এবার সেই জায়গায় ধেয়ে আসছে আরও এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং(Sitrang)। তবে মন্দের ভালো এবার তার অভিমুখ বাংলাদেশের বরিশাল জেলা। ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা সে দেশেই বেশি। সেখানকার ১৯টি জেলায় প্রায় ৭৫০কিমি এলাকা জুড়ে এই ঘূর্ণিঝড়ের(Cyclone) প্রভাব পড়তে চলেছে। তবে এপার বাংলাতেও সেই ঝড়ের লেজের ঝাপটা লাগবে। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি, এগরা ও হলদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ ও ক্যানিং এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমাতে এই ঝড়ের প্রভাব সব থেকে বেশি পড়বে। ক্ষয়ক্ষতিও যা হবে তা এই এলাকাগুলিতেই। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং ঘন্টায় প্রায় ৯০কিমি বেগে ঝড় বয়ে যাবে এই এলাকগুলিতে। একই সঙ্গে থাকছে তীব্র জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা। সাগরের ঢেউ প্রায় ৭ফুট উচ্চতায় আছড়ে পড়বে সৈকতের বুকে। সেক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ যে ভাবে বাংলার উপকূল ভাসিয়েছিল, সেই সম্ভাবনাটাই এবারেও তৈরি হয়েছে সিত্রাংয়ের জেরে।  

দিল্লির মৌসম ভবনের দাবি, কলকাতার(Kolkata) বুকে সোম ও মঙ্গলবার ৫০ থেকে ৭০মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। একই সঙ্গে রাজ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলের তুলনায় সুন্দরবন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকছে। কেননা যে সময়ে সিত্রাং স্থলভূমিতে আছড়ে পড়বে তখন উত্তর বঙ্গোপসাগরে জোয়ার চলবে। তারওপর অমাবস্যার কোটাল ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ। এমতিতেই অমাবস্যায় সাগরের জল ৩-৪ফুট উচ্চতার ঢেউ হয়ে আছড়ে পড়ে। তারওপর ঘূর্ণিঝড়। স্বাভাবিক ভাবেই জলোচ্ছ্বাস(Tidal Waves) কোথাও কোথাও ৮ ফুটের ঢেউ তুলতে পারে। আর সেক্ষেত্রে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ ও ক্যানিং জলোচ্ছ্বাসের জেরে প্লাবিত হবে। একই রকমের সম্ভাবনা থাকছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমায়। কলকাতার বুকেও জল জমতে পারে। গঙ্গায় জোয়ার এলে তার প্রভাব অন্তত ঘন্টা ৬ থাকবে। ওই সময় ভারী বৃষ্টি হলে শহরের নীচু এলাকাগুলিতে জল জমবে। যদিও কলকাতা পুরনিগম এই পরিস্থিতি যাতে দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে কলকাতা পুরনিগমের মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন।

কলকাতা পুরনিগমের(KMC) তরফে জানানো হয়েছে, সিত্রাংয়ের মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। দুর্যোগের পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের তার থেকে তড়িদাহত হয়ে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা বা মৃত্যু যাতে না হয়, তার জন্য বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। বৃষ্টিতে জল জমলে তা দ্রুত যাতে বের করে দেওয়া যায় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। কালীপুজোর সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই বিশেষ বৈঠক করেছেন মেয়র, পুর কমিশনার বিনোদ কুমার সহ পদস্থ আধিকারিকরা। সোমবার কার্যত বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার অবনতি হবে। বৃষ্টির মাত্রা ও ঝড়ো হাওয়ার গতি দুপুরের পর থেকে বাড়বে। মঙ্গলবার বেলা বাড়লে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। সুন্দরবন সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা সামাল দেওয়ার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নেমে পড়েছে রাজ্য প্রশাসন। উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা, নিরাপদ জায়গায় সরানো সহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কায় উপকূল এলাকায় কাঁচা বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকে পড়তে পারে। কাঁচা বাড়ি, রাস্তাঘাট, বিদ্যুতের লাইনের ক্ষতি হতে পারে। ধান সহ অন্যান্য ফসল নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে। সবাইকে আগাম সতর্ক করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে আগেই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ৫ দিন তাপপ্রবাহ চলবে

‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট আদালতে জমা ইডির

নিউটাউনে পরিত্যক্ত বহুতল থেকে উদ্ধার যুবকের নিথর মৃতদেহ

ভোট পেতে কুণাল ঘোষকে ফোন কংগ্রেস প্রার্থী  প্রদীপ ভট্টাচার্যের

২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি

আচমকাই জেগে উঠল গুরু প্রেম, প্রয়াত অজিত পাঁজার বাড়িতে হাজির ‘দলবদলু’ তাপস

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর