অসহিষ্ণুতা আর বাকস্বাধীনতার জন্য আজ পথে নামছে কলকাতা
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: 'জয় শ্রীরাম'। সামান্য এক শ্লোগান। অথচ সেই শ্লোগানই এক রাজনৈতিক দল ও তাঁদেরই মতো সমমনোভাবাপন্ন কিছু ধর্মীয় সংগঠনের কাছে হয়ে উঠেছে মারণাস্ত্র। এই শ্লোগান তুলেই তাঁরা একের পর এক রাজ্যে শুধু যে অসহিষ্ণুতাকেই ছড়িয়ে দিচ্ছে তাই নয়, কার্যত মানুষের বাক স্বাধীনতাকেও কেড়ে নিচ্ছে। সেই সঙ্গে চলছে সমাজের নিম্নবর্ণের ও সংখ্যালঘু সমাজের ওপর নির্মম অত্যাচার। এবার সেই শ্লোগান দিয়েই বাংলা দখলের পথে নেমেছে গেরুয়া ব্রিগেড। নেতাজীর জন্মজয়ন্তীতে এই শ্লোগানই দেখিয়ে দিয়েছে, দেশের প্রধানমন্ত্রীর সামনে এক সরকারি অনুষ্ঠানে চূড়ান্তভাবে অপমান করা যায় কোনও এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। হোন না তিনি কোনও মহিলা, কুছ পরোয়া নেহী। যোগী রাজ্য তো নিত্যদিন সাক্ষী থাকছে নিষ্পাপ মেয়েদের নিত্যদিনের গণধর্ষণ ও হত্যালীলার। সেই ছায়াই প্রলম্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বাংলার বুকে। কিন্তু এবার সেই প্রয়াসের বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়াচ্ছে কলকাতা। ‘এ কোন সকাল, রাতের চেয়েও অন্ধকার' শীর্ষক সভাকে সামনে রেখেই এদিন মানুষের প্রতিবাদ হতে চলেছে কলকাতার রাজপথে।
প্রতিবাদ শুধু কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়, প্রতিবাদ মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ মহিলাদের হুমকি-ধমকি প্রদানের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ সমাজে ক্রমশ অসহিষ্ণুতার বিষ ছড়িয়ে দেওয়া নিয়ে। সম্প্রতি টলিউডের অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ, দেবলীনা দত্ত থেকে শুরু করে সুরকার ও পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে একাধিক হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। তাঁরা নিজেদের মত প্রকাশ করে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। আর তার পর থেকেই ধর্ষণের হুমকিতে জর্জরিত টলি অভিনেত্রীরা। এমনকি ‘গণধর্ষণ’-এর হুমকিও ধেয়ে আসছে। অনলাইনে ক্রমাগত ধর্ষণ ও খুনের হুমকি পেতে পেতে বিধ্বস্ত শিল্পীদের কিছু অংশ। বাংলার মাটিতে সেই হুমকির বিরুদ্ধেই এবার সোচ্চার হয়ে পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বিশিষ্টজনেরা। এদিন বিকাল ৩টে নাগাদ ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলের সামনেই পথে নামছেন বাংলার বিশিষ্টজনেরা। তাতে থাকবে না কোনও রাজনৈতিক রঙ। কেবল মাত্র মানবিকতার পতাকা উড়িয়ে ভিড় জমবে মেট্রো চ্যানেলে। সভার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘এ কোন সকাল, রাতের চেয়েও অন্ধকার।’ পোস্টারেই তুলে ধরা হয়েছে সভার বক্তব্য। এক মহিলার ছবি আঁকা। যার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে। ছবির নীচে একটি পরিচ্ছেদে প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবাদীদের অভিব্যক্তি। তাতে লেখা, ‘এই মাটি নারীর সম্মান রক্ষার জন্যে সবার আগে সমস্ত মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। কোনও নারীকে অপমান করা, তাকে ট্রোল করা, তার সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করা বাংলার সংস্কৃতি নয়।’
প্রতিবাদ সভা নিয়ে অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত জানিয়েছেন, 'তরুণজ্যোতি তেওয়ারি আজও আমায় সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি দিচ্ছে। আমি ভয় না পেলেও আমার বৃদ্ধা মা আতঙ্কিত। ক্রমাগত একটি মানসিক অত্যাচার চলছে আমাদের উপর। সে রকম একটি পরিস্থিতিতে এ রকম একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে দেখে আমি ভীষণ আনন্দিত। আমাকে কোনও উদ্যোগই নিতে হয়নি। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী থেকে শুরু করে বহু বিশিষ্ট মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন আগামিকাল। সায়নীও যোগ দিচ্ছেন এই প্রতিবাদে।' টলিউডের পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, রাজ্য মহিলা কমিশনের অধ্যক্ষা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, অভেন্তা কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেনের মতো মানুষরাও এই দিন উপস্থিত থাকছেন, মানুষের কণ্ঠরোধের বিরোধিতায় মেট্রো চ্যানেলের সভায়। এমনকি বিজেপির সদস্য অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় দেবলীনার কাছে তাঁর মত প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ‘বিজেপির কর্মী হয়েও আমি এটা বলতে বাধ্য হচ্ছি, দেবলীনার সঙ্গে একটানা যা ঘটে চলেছে, সেটা অন্যায়।’ লীনা গঙ্গোপাধ্যায় আবার জানিয়েছেন,'এই বাংলায় বড় হইনি আমরা। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করি না। কিন্তু এ বার আর চুপ করে থাকতে পারছি না। যদি কোনও অভিনেত্রীর মতামত পছন্দ না হয়, তা হলে দর্শকই তাঁকে বয়কট করে দেবেন। কিন্তু সমগ্র দর্শকমহলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি এক অংশের মানুষকে। এ ভাবে মহিলাদের আক্রমণ করাটা ঘোরতর অন্যায়।'
কথা বলার অধিকারের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিচ্ছে ফ্যাসিবাদ। এমনটাই দাবি এদিনের সভার আয়োজকদের। নিশানায় অবশ্যই বিজেপি। ওই সভার প্রচার পোস্টারে বলা হয়েছে, সময় এসেছে নতুন এক সকালকে আহ্বান করার। যা কিছু অশুভ, অসুন্দর তাকে প্রত্যাখান করে সুন্দরকে বরণ করার। রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, সুভাষ চন্দ্র, রামমোহনের মাটিতে ফ্যাসিবাদের কোনও জায়গা নেই। এর বিরুদ্ধে বাংলা আগেও লড়ছে। মৌলবাদের বিরুদ্ধে এবারও লড়বে বাংলা। মহিলাকে অপমান করা, তাঁর সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করা বাংলার সংস্কৃতি নয়।
প্রতিবাদ শুধু কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়, প্রতিবাদ মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ মহিলাদের হুমকি-ধমকি প্রদানের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ সমাজে ক্রমশ অসহিষ্ণুতার বিষ ছড়িয়ে দেওয়া নিয়ে। সম্প্রতি টলিউডের অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ, দেবলীনা দত্ত থেকে শুরু করে সুরকার ও পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে একাধিক হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। তাঁরা নিজেদের মত প্রকাশ করে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। আর তার পর থেকেই ধর্ষণের হুমকিতে জর্জরিত টলি অভিনেত্রীরা। এমনকি ‘গণধর্ষণ’-এর হুমকিও ধেয়ে আসছে। অনলাইনে ক্রমাগত ধর্ষণ ও খুনের হুমকি পেতে পেতে বিধ্বস্ত শিল্পীদের কিছু অংশ। বাংলার মাটিতে সেই হুমকির বিরুদ্ধেই এবার সোচ্চার হয়ে পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বিশিষ্টজনেরা। এদিন বিকাল ৩টে নাগাদ ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলের সামনেই পথে নামছেন বাংলার বিশিষ্টজনেরা। তাতে থাকবে না কোনও রাজনৈতিক রঙ। কেবল মাত্র মানবিকতার পতাকা উড়িয়ে ভিড় জমবে মেট্রো চ্যানেলে। সভার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘এ কোন সকাল, রাতের চেয়েও অন্ধকার।’ পোস্টারেই তুলে ধরা হয়েছে সভার বক্তব্য। এক মহিলার ছবি আঁকা। যার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে। ছবির নীচে একটি পরিচ্ছেদে প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবাদীদের অভিব্যক্তি। তাতে লেখা, ‘এই মাটি নারীর সম্মান রক্ষার জন্যে সবার আগে সমস্ত মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। কোনও নারীকে অপমান করা, তাকে ট্রোল করা, তার সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করা বাংলার সংস্কৃতি নয়।’
প্রতিবাদ সভা নিয়ে অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত জানিয়েছেন, 'তরুণজ্যোতি তেওয়ারি আজও আমায় সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি দিচ্ছে। আমি ভয় না পেলেও আমার বৃদ্ধা মা আতঙ্কিত। ক্রমাগত একটি মানসিক অত্যাচার চলছে আমাদের উপর। সে রকম একটি পরিস্থিতিতে এ রকম একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে দেখে আমি ভীষণ আনন্দিত। আমাকে কোনও উদ্যোগই নিতে হয়নি। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী থেকে শুরু করে বহু বিশিষ্ট মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন আগামিকাল। সায়নীও যোগ দিচ্ছেন এই প্রতিবাদে।' টলিউডের পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, রাজ্য মহিলা কমিশনের অধ্যক্ষা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, অভেন্তা কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেনের মতো মানুষরাও এই দিন উপস্থিত থাকছেন, মানুষের কণ্ঠরোধের বিরোধিতায় মেট্রো চ্যানেলের সভায়। এমনকি বিজেপির সদস্য অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় দেবলীনার কাছে তাঁর মত প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ‘বিজেপির কর্মী হয়েও আমি এটা বলতে বাধ্য হচ্ছি, দেবলীনার সঙ্গে একটানা যা ঘটে চলেছে, সেটা অন্যায়।’ লীনা গঙ্গোপাধ্যায় আবার জানিয়েছেন,'এই বাংলায় বড় হইনি আমরা। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করি না। কিন্তু এ বার আর চুপ করে থাকতে পারছি না। যদি কোনও অভিনেত্রীর মতামত পছন্দ না হয়, তা হলে দর্শকই তাঁকে বয়কট করে দেবেন। কিন্তু সমগ্র দর্শকমহলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি এক অংশের মানুষকে। এ ভাবে মহিলাদের আক্রমণ করাটা ঘোরতর অন্যায়।'
কথা বলার অধিকারের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিচ্ছে ফ্যাসিবাদ। এমনটাই দাবি এদিনের সভার আয়োজকদের। নিশানায় অবশ্যই বিজেপি। ওই সভার প্রচার পোস্টারে বলা হয়েছে, সময় এসেছে নতুন এক সকালকে আহ্বান করার। যা কিছু অশুভ, অসুন্দর তাকে প্রত্যাখান করে সুন্দরকে বরণ করার। রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, সুভাষ চন্দ্র, রামমোহনের মাটিতে ফ্যাসিবাদের কোনও জায়গা নেই। এর বিরুদ্ধে বাংলা আগেও লড়ছে। মৌলবাদের বিরুদ্ধে এবারও লড়বে বাংলা। মহিলাকে অপমান করা, তাঁর সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করা বাংলার সংস্কৃতি নয়।
More News:
25th February 2021
রাত দুপুরে চুরি! বিরল ৩টি পাখি উধাও আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে
25th February 2021
'দু'-একটাকা দাম বাড়লে কিছু যায় আসেনা,' জ্বালানির দামবৃদ্ধি প্রসঙ্গে দিলীপ
25th February 2021
25th February 2021
25th February 2021
'শারীরিক হেনস্থা করেছে, অন্য চোখে দেখত রাকেশ,' বিস্ফোরক পামেলা
25th February 2021
25th February 2021
25th February 2021
25th February 2021
25th February 2021
Leave A Comment