এই মুহূর্তে




বাংলাদেশে অস্থিরতার আঁচ কলকাতার হোটেল আর পরিবহণের ব্যবসায়

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশের(Bangladesh) ধাক্কা কলকাতার(Kolkata) বুকে। এমনটা যে হতে পারে সেই আঁচ আগেই মিলেছিল। এবার সেটা সত্যি হয়ে উঠল। সঙ্কট অবশ্য যে হুট করে সোমবার থেকেই দেখা দিয়েছে এমন নয়, বরঞ্চ গত দুই মাস ধরে তা একটু একটু করে জাঁকিয়ে বসেছে। বাংলাদেশে অস্তিরতার আঁচ পড়ছে কলকাতার হোটেল আর পরিবহণের ব্যবসায়(Hotel and Transportation Business)। বাংলাদেশে চলা আন্দোলনের জেরে কলকাতার হোটেল ও পরিবহণের ব‌্যবসা জোর ধাক্কা খেয়েছে। একের পর এক বাসের বুকিং বাতিল করতে হয়েছে। হাসিনা সরকারের পতনে পর ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তগুলি সিল করে হয়েছে। বাতিল হয়েছে উড়ান। বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচলও। আর এই সব কিছুর জেরে কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকায় হোটেল ও টু‌র-ট্রাভেল ব‌্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও বাড়ছে। বাস ও উড়ানের অগ্রিম টিকিটের টাকা চেয়ে একের পর এক ফোন আসছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর কাছে।

আরও পড়ুন হাসিনার গদি ওল্টাতেই গঙ্গা-তিস্তা জলবন্টন চুক্তি বিশ বাঁও জলে, স্বস্তিতে মমতা

সারা বছরই বাংলাদেশ থেকে প্রচুর নাগরিক ভারতে আসেন। অধিকাংশ আসেন চিকিৎসা করাতে। বাকিরা আসেন ব‌্যবসায় সংক্রান্ত কাজে ও ভ্রমণের জন‌্য। বাংলাদেশিরা এদেশে এলে তাঁদের ঠিকানা হয়ে ওঠে নিউমার্কেট(New Market) এলাকার সদর স্ট্রিট, মারকুইস স্ট্রিট। এখানে হোটেল, পরিবহণ ব‌্যবসা পুরোটাই বাংলাদেশি রোগী ও পর্যটকদের ওপরই নির্ভর করে চলছে। হঠাৎ করে বাংলাদেশে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠা ও হাসিনা সরকারের পদত‌্যাগের আঁচ এসে পড়েছে মারকুইস স্ট্রিট, সদর স্ট্রিটে। সেখানকাত হোটেল ও পরিবহণ ব্যবসায়ীদের দাবি, বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হতেই বাস, ট্রেন আর বিমানের টিকিট বুকিং কমে গিয়েছিল। অনেকে অগ্রিম বুকিং করেও বাতিল করে দিয়েছে। প্রায় ৬০ শতাংশ ব‌্যবসা মার খেয়েছে। পর্যটক বুকিং তো একদমই ছিল না। বাংলাদেশি রোগীদের জন‌্য কিছু বুকিং হচ্ছিল। কিন্তু এখন সে দেশের সঙ্গে সব যোগাযোগ ব‌্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাস, উড়ান সব বাতিল করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন‌্য। রোগীদের ওপর নির্ভর করে যেটুকু বব‌্যসা চলছিল, সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন কতদিন এই পরিস্থিতি চলবে তা তাঁদের জানা নেই। যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিনে তাঁদের ব‌্যবসার ব‌্যাপক ক্ষতি হবে।

আরও পড়ুন মমতার GST প্রত্যাহারের দাবিকে সমর্থন সোনিয়ার, সংসদে INDIA’র বিক্ষোভ

গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina)। তারপর অনেকেই ভেবেছিলেন এবার হয়তো পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু সেই সম্ভাবনাও ক্রমশ বিশ বাঁও জলে চলে যাচ্ছে। চিকিৎসা করাতে এসে কলকাতায় আটকে ছিলেন বহু বাংলাদেশি। হাসিনার পদত‌্যাগের পর দেশে ফিরতে অনেকেই তড়িঘড়ি হোটেল ছাড়তে লাগেন। কিন্তু বর্ডার সিল হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসা করাতে আসা বাংলাদেশিরা বিপাকে পড়েছেন। যেহেতু ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এখন সিল করে দেওয়া হয়েছে তাই এদের এখন বাংলাদেশ ফেরাটাই চূড়ান্ত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এদিকে হাতের টাকাও শেষের পথে। বড্ডজোর ২-৩ দিন চলবে তাতে। কিন্তু তারপর কী হবে? যদিও এদিন থেকে বাংলাদেশে খোলা স্কুল-কলেজ, অফিস খুলছে। কিন্তু পরিস্থিতি যে খুব দ্রুত স্বাভাবিক হবে এমনতা অনেকেই মনে করছেন না। বরঞ্চ শোনা যাচ্ছে আশঙ্কার চোরাস্রোত, পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তায় এবং আতান্তরে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও তাদের পরিজনেরা।

আরও পড়ুন পুজোর আগেই টাকা ফেরত পাবেন Rose Valley’র আমানতকারীরা

মুকুন্দপুর এলাকার সোনালি পার্ক। সব মিলিয়ে ৩৮ টি গেস্ট হাউস। সেখানে প্রায় ৪ হাজার বাংলাদেশী নাগরিক আছেন। এরা কেউ চিকিৎসার জন্য দেশ ছেড়েছেন ১ মাস আগে। কেউ ১৫ দিন। কেউ বা মাত্র ৫ দিন আগে। এরা প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা পরিস্থিতি দেখে দেশ ছেড়ে বেড়িয়েছেন। তারপর ক্রমশ পাল্টে যাওয়া পরিস্থিতির আঁচ পেয়ে দেশে আত্মীয় বা প্রতিবেশীদের ফোন করেছেন। মাঝে মাঝে যোগাযোগ করতে পেরেছেন। কখনও বা তাও পারেননি। যদিও বৈধ ভিসা থাকলে পেট্রাপোল-সহ সমস্ত সীমান্ত দিয়েই যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ বাস ও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিমান অনিয়মিত। যদিও এই আটকে পড়া মানুষদের অনেকেরই ভিসা আছে অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত। তার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে তাঁদের আশা।     




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে আরজি করে গেলেন নয়া পুলিশ কমিশনার

পুজো নিয়ে বৈঠক ডাকলেন নয়া পুলিশ কমিশনার মনোজ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে পিছনে ফেলে দিতে চলেছে কন্যাশ্রী, আবেদন জমা ও মঞ্জুর ৩ কোটিরও বেশি

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল গুদামের ছাদ, হাওড়ায় নিহত ৪ শ্রমিক

আর জি কর কাণ্ডে মিনাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করবে CBI, স্টেশন থেকেই সোজা CGO’র পথে বামনেত্রী

‘কর্মবিরতি চলবে’, নবান্ন বৈঠক শেষে জানিয়ে দিলেন জুনিয়র চিকি‍ৎসকরা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর