নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্ধারিত সময়ের পরে হলেও করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে। বাংলাতেও মাত্র পাঁচদিনেই হু হু করে বেড়েছে করোনার সংক্রমণের গ্রাফ। করোনার থাবায় কাবু হয়েছে কলকাতা পুলিশের একাধিক আধিকারিক। পুলিশের শিবিরেও হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা। তাই বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করল লালবাজার। আমজনতার ভিড়ে না গিয়ে এবার নিজস্ব প্যাথলজি ল্যাব ও ওষুধের দোকান তৈরি করল কলকাতা পুলিশ। শুধুমাত্র কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের জন্যই কাযে লাগানো হবে ওই ওষুধের দোকান ও প্যাথলজি ল্যাবগুলি।
করোনার কবলে পড়েছেন কলকাতা পুলিশের ৮৩ জন পুলিশকর্মী ও আধিকারিক। সেই তালিকায় রয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে কলকাতা পুলিশ। শহরের থানা ও ট্রাফিক গার্ডগুলিতে বাঁচাতে চলছে ঘনঘন স্যানিটাইজেশন। করোনার দাপটেই কাঁপছে কলকাতা পুলিশ। তাই এই সঙ্কটের সময় কলকাতা পুলিশের কোনও কর্মী কিংবা আধিকারিক বাইরে থেকে ওষুধ কিংবা টেস্ট করাতে না যান সেই কারণেই তৈরি করা হয়েছে পৃথক ল্যাবরেটরি ও ওষুধের দোকান। কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার বোর্ডের পক্ষ থেকে সল্টলেকের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের আবাসন ও বি টি রোডে পুলিশ লাইনে দোকান দু’টি তৈরি করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের কর্মী-আধিকারিকরা ছাড়াও সিভিক ভলান্টিয়ার্স, হোমগার্ড, প্রশাসনিক কর্মী, চুক্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে – এমন পুলিশের কর্মীরাও সেখান থেকে ওষুধ কিনতে পারবেন। ২৪ শতাংশ ছাড়ে কেনা যাবে ওষুধ।
আলিপুর বডিগার্ড লাইনে পুলিশের জন্য নিজস্ব প্যাথলজি সেন্টার তৈরি করেছে কলকাতা পুলিশ ওয়ালফেয়ার বোর্ড। এখানেও অনেক কম মূল্যে প্যাথলজি পরীক্ষা করানো যাবে।