নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢিল মারলে পাল্টা পাটকেলও খেতে হয়। এই আপ্তবাক্য সম্ভবত বৃহস্পতিবার ভুলে গিয়েছিলেন তৃণমূল(TMC) সাংসদ সৌগত রায়(Sougata Roy)। কিন্তু এদিনই তাঁকে সেই কথা মনে করিয়ে দিলেন দলেরই মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। বৃহস্পতিবার ছিল উত্তর শহরতলি এলাকায় দক্ষিণেশ্বর ও কামারহাটি থানার উদ্বোধন। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে এসে হাঁসখালি(Hanskhali) কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর নাম না নিয়েই তাঁকে টেনে এনে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। আর তার জেরেই এবার সৌগতকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন কুণাল, আর সেটাও সৌগতের নাম না করেই। এদিন সৌগত বলেন, ‘একটা ব্যাপার সবাইকে চিন্তিত করছে। আমি জানি না সেটা সংবাদ মাধ্যমের জন্য কিনা, কিন্তু সকলেই চিন্তিত মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে। এখানে একেবারে জিরো টলারেন্স করতে হবে। কোন রকম কোন ঘটনা ঘটলে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে হবে। যে রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, সে রাজ্যে একটা ঘটনা ঘটলেও তা লজ্জার। আমি আশা করি পুলিশ প্রশাসন সেদিকে নজর রাখবে।’
তারই পাল্টা কুণাল বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুরুষ না মহিলা সেটা কোনও বিষয় নয়। এটা একটা লজ্জাকর ঘটনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলছেন এটা খারাপ ঘটনা। পুলিশকে অপরাধীর কোনও রঙ না দেখে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা চাই না এমন কোনও ঘটনা ঘটুক। তারপরেও কেন মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ? এই ঘটনা ও আক্রমণ অবাঞ্ছিত। বাম জমানার বানতলার ঘটনার মতো এখন কেউ বলেন না, এরকম তো হয়েই থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের মহিলারা সুরক্ষিত। মোদী সরকারের রিপোর্টে বাংলা নিরাপদ। কলকাতা নিরাপদতম শহর মহিলাদের জন্য। বিজেপি সরকারের শাসনে হাথরসে তো নির্যাতিতার বাড়ির লোককেও খুন করা হয়।’ এদিন কার্যত একই সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের আরও এক সাংসদ শতাব্দী রায়ের(Shatabdi Roy) গলাতেও। তিনিও সৌগতের বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছেন। বলেছেন, ‘আমি সৌগতদার সঙ্গে এক মত নই। এই জন্য যে, মহিলা-পুরুষের বিভেদের বিষয় এটা নয়। এমন যে কোনও ঘটনা দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কি চেয়েছেন এটা? কোনও সরকার, কোনও মন্ত্রী কি চাইবে এটা? যাঁদের মানবিকতা আছে তাঁরা কেউই এমন ঘটনা চাইবেন না। সুতরাং মুখ্যমন্ত্রী মহিলা বলে মহিলা ধর্ষিত হবেন না এটা ব্যাপার নয়। কোথাও কোনও সরকারের পুরুষ-নারী নির্বিশেষে যিনিই মুখ্যমন্ত্রী হন না কেন, কেউই চাইবেন না যে, এমন ঘটনা ঘটুক। এটা লজ্জার, দুঃখের এবং কষ্টের।’