এই মুহূর্তে




মঙ্গলের ধর্মঘট ঠেকাতে কুণালের আবেদন, তৃণমূলের আক্রমণ, দিশাহারা চিকিৎসক সমাজ

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘আমরণ অনশনে’ বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা(Junior Doctors)। আর জি কর-কাণ্ডের বিচার, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিবর্তনের দাবিতে গত দু’মাসের বেশি সময় ধরে তাঁদের আন্দোলন চলছে। এখন ১০ দফা দাবি নিয়ে চলছে অনশন(Hunger Strike Movement)। এরই মাঝে অনশনে বসা ৬জন জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৫জন। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনরত ডাক্তাররা জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সব দাবিদাওয়া মেনে না নিলে এবং তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় না বসলে তাঁরা মঙ্গলবার সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তারদের সমস্ত সংগঠন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যাবেন। যদিও এটা এখনও পরিষ্কার নয়, এই ধর্মঘট ১ দিনের নাকি টানা চলবে। জুনিয়র ডাক্তারদের সেই ঘোষণার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের(TMC) সংগঠনগুলি ডাক্তারদের আক্রমণ করা শুরু করে দিয়েছে। তবে এদিন অর্থাৎ শনিবার কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) ডাক্তারদের ধর্মঘটন প্রত্যহার করার অনুরোধ করেছেন।

আরও পড়ুন, সিভিকের জায়গায় বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে

ঠিক কী বলেছেন এদিন কুণাল? তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন এই সাংসদ তথা পেশায় সাংবাদিক লিখেছেন, ‘জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন তুলে নিন। তাঁদের সুস্থতা কামনা করি। এখন অনশনের কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। শরীরে চাপ নেবেন না। প্রকৃত শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শ মানুন। শকুনের রাজনীতির প্ররোচনায় আবেগকে বিভ্রান্ত হতে দেবেন না। বাম, অতি বামদের ধ্বংসাত্মক ও নেতিবাচক মানসিকতা দূরে রাখুন। আর স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ধর্মঘটের মত জনবিরোধী ভাবনা ভাববেন না। সংবিধান অনুযায়ী চিকিৎসা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। আন্দোলনকে জনগণের শত্রুর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আগে বারবার ভাবুন। এই সরকার জ্যোতি বসুর সরকারের মত ডাক্তারদের আন্দোলন পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে তোলেনি। বরং মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের মঞ্চে গিয়েছেন, বাড়িতে ডেকেছেন, বারবার বৈঠক হয়েছে, কাজ চলছে, সিবিআই-সুপ্রিম কোর্ট দেখছে। আপনারা থ্রেট কালচারের অংশ হয়ে উঠে কাজ বন্ধের হুমকি দিয়ে রাজনীতি করবেন না।’ কুণাল যখন অনুরোধ করছেন তখন তৃণমূলপন্থী নানান সংগঠন কিন্তু চিকিৎসকদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানাতে শুরু করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন, দেশের সুরক্ষায় আপোষ নয়, রাজ্যের পদক্ষেপে খুশি কেন্দ্র

আর এসবের মাঝে পড়ে কার্যত দিশেহারা জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি সিনিয়র ডাক্তাররাও। এদিনই সোদপুর থেকে ধর্মতলা অবধি মিছিলের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। আগামিকাল ধর্মতলার মঞ্চে মহাসমাবেশের ডাকও দেওয়া হয়েছে। সেখানে আবার নাগরিক সমাজের প্রত্যেককে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও বাংলার(Bengal) সরকারি চিকিৎসা পরিষেবাই দেশের সেরা সরকারি চিকিৎসা পরিষেবার তকমা পেয়ে গিয়েছে। গতকালই কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, রাজ্যে মোট ১২,৮৫৯ সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে ৩০৩৯টিই কেন্দ্রীয় সরকারের শংসাপত্র পেয়েছে। তাদের ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। দেশের আর কোনও রাজ্য এই বিচারে বাংলার ধারে কাছে নেই। গুণগত মান বিভাগে বাংলাই দেশের সেরা। এই তকমা এসেছে যেমন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুচিন্তিত পরিকল্পনার জন্য, তেমনই এসেছে স্বাস্থ্য বিভাগের সুদক্ষ কাজের জন্য। একই সঙ্গে এই তকমার পিছনে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মীদের অবদানও রয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বার বার কর্মবিরতি যাওয়া যে রাজ্যের এই তকমার চূড়ান্ত বিরোধী সেটা মানছেন চিকিৎসক সমাজের বড় অংশই।

আরও পড়ুন, ‘ডানা’র ঝাপ্টা লাগবে বাংলায়, সতর্কতা ৮টি জেলায়, তীব্র জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা

কার্যত ক্রমশ ছন্নছাড়া হয়ে পড়ছে ডাক্তারদের আন্দোলন। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের মধ্যে অনীহাও প্রকাশ পাচ্ছে। আন্দোলন নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের মধ্যে অবিশ্বাস দানা বাঁধতে শুরু করেছে। আন্দোলনের মুখরা কেন অনশনে বসছেন না? আন্দোলন ফেলে পুজোর ছুটিতে বেশ কয়েকজনের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের মধ্যে  এই প্রশ্ন উঠেছে। শুরুর দিকে অনশন মঞ্চে জুনিয়রদের সঙ্গে সিনিয়র ডাক্তাররা নাগরিক মঞ্চের সদস্যদের উপস্থিতিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকতেন। কিন্তু যতদিন গড়াচ্ছে অনশন মঞ্চ ক্রমশ শুনশান হয়ে পড়ছে। পরবর্তী অনশনকারী কে হবেন তা খুঁজতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনশনের পরিবর্তে অন্য কোনও ফরম্যাটে আন্দোলনকে নিয়ে যাওয়া যায় কি না সেই বিষয়েও নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। তবে কোনও দিকেই সেভাবে কোনও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না কেউই। কীভাবে অনশন উঠবে বা তোলা যায় সেটাই এখন ভাবাচ্ছে তাঁদেরকে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

 আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত কত দিনে শেষ হবে? সদুত্তর দিতে পারল না সিবিআই

আরজি করে ‘গণধর্ষণ’ হয়নি, হাইকোর্টে ফের জানাল CBI

ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট কাণ্ডে নয়া মোড়, শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিল নবান্ন

তৃণমূলের শিক্ষক নেতার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার ডিভিশন বেঞ্চের

উপাচার্যের পদ থেকে অপসারণ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরানো হল ভাস্কর গুপ্তকে

খাদিম-কর্তা অপহরণ মামলায় বেকসুর খালাস আখতার হোসেন

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর