নিজস্ব প্রতিনিধি: পুজো শেষ এবছরের মতো। এখন কলকাতায়(Kolkata) গঙ্গার(Ganges) ঘাটে ঘাটে চলছে প্রতিমা বিসর্জনের পালা। আর প্রতিবছরই এই বিসর্জনের পরে পরই গঙ্গার ঘাটের চিত্র বদলে যায়। প্রতিমা, ফুল চারিদিকে পড়ে থাকে। তা থেকেই দূষিত হত জল। বর্তমানে সেই জলদূষণ(Water Pollution) রুখতে জলে আর প্রতিমা ফেলে রাখা হয় না। নিরঞ্জনের পর ক্রেন দিয়ে তড়িঘড়ি জল থেকে তুলে আনা হয় প্রতিমা। বিষয়টি যে খুব দৃষ্টিনন্দন তা কিন্তু একেবারেই নয়। তাই ভাসান কুলি দিয়ে প্রতিমা তোলার কাজ চলছে কলকাতার বুকে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে। মূলত জলদূষণ রুখতেই নয়া উদ্যোগ কলকাতা পুরনিগমের(KMC)।
কলকাতা পুরনিগমের তত্ত্বাবধানে মোট ১৬টি ঘাটে মায়ের বিসর্জন হচ্ছে। সেইসব ঘাট পরিদর্শনে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে তিনি বলেন, ‘ক্রেনে করে প্রতিমা তোলা খুব ভালো দেখায় না। অধিক সময়ও লেগে যাচ্ছে। তাই আর ক্রেন নয়, কুলিরাই তুলবেন প্রতিমার কাঠামো। এই কাজের জন্য একদল কুলিকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। কলকাতা শহরে মোট দুর্গা পুজোর সংখ্যা প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি। তার মধ্যে বারোয়ারি পুজোও রয়েছে। দশমীর রাতে প্রায় আড়াই হাজার প্রতিমা গঙ্গাতে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রসাশন।’
জানা গিয়েছে, ভিড় কমাতে পুলিশ গঙ্গার পারে দর্শনার্থীদের দাঁড়াতে দিচ্ছে না। বিসর্জনে কোনও বিপদ যাতে না সর্বদায় কড়া নজর রেখেছে প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বিসর্জনের পর প্রতিমার কাঠামো তুলে আনছেন ভাসান কুলিরা। ফলে একদিকে যেমন দূষণ রোধ হচ্ছে, ঠিক তেমনই এই কাজে কুলিদের জীবিকাও নির্বাহ হচ্ছে। পুজোতে কাজ পেয়েছে কুলিরা। তাই সবদিক দিয়ে দেখতে গেলে, কলকাতা পুরনিগমের এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়।