এই মুহূর্তে




আলবিদা কমরেড, ভালো থাকুন লোকচক্ষুর অন্তরালে, মানুষের হৃদমাঝারে

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: চিরদিনের মতো লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী(Former Chief Minister of West Bengal) বুদ্ধদেব ভট্টচার্য(Buddhadeb Bhattacharya)। গতকালই ৮০ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন এই প্রবীণ বাম নেতা। গতকালই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শেষযাত্রা(Last Journey) হবে শুক্রবার। সেই কারণে গতকাল থেকে তাঁর দেহ শায়িত ছিল পিস ওয়ার্ল্ডে। এদিন অর্থাৎ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সেখান থেকে দেহ বার করে শুরু হয় তাঁর শেষ যাত্রা। প্রথমে রাজ্য বিধানসভা ভবন, তারপর আলিমুদ্দিন স্ট্রিট, দীনেশ মজুমদার ভবন হয়ে এন আর এস হাসপাতাল। সেখানেই তাঁর দেহ দান করা হয়। আর তাঁর দেহ চিরতরে লোকচক্ষুর অন্তরারেল চলে যেতেই এই বাম নেতার শেষ যাত্রাও কার্যত শেষ হল শুক্র বিকাল শেষে সন্ধ্যার মুখে। অস্তগামী সূর্য সাক্ষী থাকলেন এই বাম নেতার শেষ যাত্রায় সামিল হওয়া হাজার হাজার মানুষের শোকার্ত ছায়ার।

আরও পড়ুন, রাম নাম নিয়ে এপার বাংলার সীমান্তে হাজির ওপার বাংলার শয়ে শয়ে মানুষ, চাইছেন আশ্রয়

এদিন আলিমুদ্দিন স্ট্রিতে সিপিআই(এম)’র রাজ্য কার্যালয়ে বুদ্ধদেববাবুকে কয়েক ঘন্টার জন্য রাখা হয় যাতে আমজনতা শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। সেখানে যেভাবে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান তাতেই ছবি পরিষ্কার হয়ে ওঠে যে শেষ যাত্রায় কার্যত রুদ্ধ হতে চলেছে মধ্য কলকাতার একাংশ। হয়েছেও তাই। আলিমুদ্দিন থেকে দুওউর ৩টের কিছু পরে বুদ্ধের নশ্বর শরীর নিয়ে মিছিল শুরু হতেই থমকে যায় আলিমুদ্দিন থেকে শিয়ালদা যাওয়ার প্রশস্ত রাস্তা। শিয়ালদা মুখে লেন কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মিছিলে সামিল হওয়া লাখো মানুষের ভিড়ে। কেউ প্রিয় নেতার মৃত্যুতে কাঁদছেন, কেউ গণসঙ্গীর গাইছেন। কেউ হাতে তুলে ধরেছেন তাঁর ছবি, কেউ বা প্ল্যাকার্ডে লিখে এনেছেন তাঁর প্রিয় নেতাকে দেওয়া ‘লাল সেলাম’। আবেগ সেখানে এতই ঘণ যে কে বামপন্থী আর কে অবামপন্থী তা ফারাক করাই দায়। আসলে বামপন্থীর মৃত্যু হয়, বামপন্থা থেকে যায়। বুদ্ধের শেষযাত্রা সেটাও প্রমাণ করে দিল। রাজ্যের বিধানসভা থেকে বিলুপ্ত সিপিআই(এম) দলের লাখো সমর্থক যারা হয়তো দলকেই ভোট দেন না, তাঁরাও সামিল বুদ্ধের শেষ যাত্রায়।

আরও পড়ুন স্কুল থেকে বাড়ি না ফিরে পুকুরে স্নান, তলিয়ে গেল ২ পড়ুয়া

আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য দফতর থেকে ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য দফতর দীনেশ মজুমদার ভবন পর্যন্ত পৌঁছতে একটি গাড়ির বড়জোর ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় লাগার কথা। কিন্তু শুক্রবার আলিমুদ্দিন থেকে সাড়ে ৩টের সময় রওনা দিয়ে সাড়ে ৪টের সময়েও ডিওয়াইএফআই দফতরে পৌঁছতে পারেনি শববাহী শকট। রাস্তার দু’ধারে কাতারে কাতারে মানুষ অপেক্ষা করছিলেন বুদ্ধদেবকে শেষ দেখা দেখবেন বলে। ভিড়ের কারণে খুব ধীর গতিতে এগোয় গাড়ি। ভিড়ের মধ্যে দেখা যায় ফুল, মালা উড়ে আসছে শববাহী শকটের দিকে। বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দেহ পৌঁছায় এন আর এস হাসপাতালে। তার আগে বিপুল জনস্রোতকে সঙ্গী করে এগোয় বুদ্ধদেবের শেষযাত্রা। থিকথিকে ভিড়ে দীনেশ মজুমদার ভবনে দেহ নামানোই যায়নি। কিছু ক্ষণ সেখানে দাঁড়ানোর পর ভিড় ঠেলে ফের এগোয় শববাহী শকট। এন আর এসে পৌঁছে দেহ দান করা হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে। গাড়ি থেকে নামিয়ে দেহ চিরতরে চলে গেল লোকচক্ষুর অন্তরালে। বুদ্ধ থেকে গেলেন লাখো মানুষের হৃদমাঝারে। ভাল থাকুন কমরেড। লাল সেলাম।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজপথে জনতার আন্দোলনের ঢেউয়ে জৌলুশ হারিয়েছে রবিবারের পুজোর মার্কেট

আরজি কর কাণ্ডে মহানগরীর পথে ‘ইনসাফ’ চেয়ে রিক্সা চালকদের প্রতিবাদ মিছিল

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে আমজনতার সাহায্য চাইল সিবিআই

বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপের জেরে বঙ্গে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ

‘এই ধরনের মানুষদের মনোনয়ন দেওয়াই ঠিক নয়’, জহরকে নিশানা সৌগতের

‘একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন,’ নাম না করেই জহর-সুখেন্দুকে নিশানা দেবাংশুর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর