নিজস্ব প্রতিনিধি: বাম-কংগ্রেসের জোট(Left – Congress Alliance) আগেও ছিল। খালি যেটা বোঝা যায়নি তা হল তলে তলে সেই জোটে পড়েছিল গেরুয়ার প্রভাবও। সাগরদিঘী(Sagardighi) প্রথমবার দেখায় সেই ছবি। পরাস্ত হয়েছিল তৃণমূল(TMC)। এই পথে হেঁটেই আগামী দিনে তাই রাজ্যে আরও এক পরিবর্তন আনতে চাইছেন বাম-কংগ্রেস সমর্থকেরা। কিন্তু সেই সাগরদিঘী মডেলে জেতা বায়রণ বিশ্বাসের(Bairan Bishwas) দলবদলের ঘটনা শুধু যে সাগরদিঘী মডেল নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তাই নয়, বামেদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও(Adhir Ranjan Chowdhury)। তাঁদের প্রশ্ন, তৃণমূল থেকে আসা বায়রণকেই কেন বেছে নেওয়া হয়েছিল সাগরদিঘীতে প্রার্থী হিসাবে? দলে কী কোনও বিশ্বস্ত নেতা বা কর্মী ছিলেন না যাতে প্রার্থী করা যাতে পারত!
আরও পড়ুন মালদার দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৬ কোটি টাকার তছরুপের ঘটনা
বায়রণ যে তৃণমূল পরিবারের ছেলে সেটা নির্বাচনের আগেই জানা গিয়েছিল। গতকাল যখন বায়রণ তৃণমূলে যোগ দেন তখন সেই বিষয়টি সাংবাদিক বৈঠকে ফের নতুন করে তুলেও ধরেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। আর সেই সূত্রেই বামেরা চাইছেন, আগামী দিনে সাগরদিঘী মডেলেই লড়াই হোক তৃণমূল বনাম বাম-কংগ্রেস জোটের। কিন্তু প্রার্থী নির্বাচন ঘিরে সতর্ক হোক প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু(Biman Basu)। জানিয়েছেন, ‘বুঝিনি এ রকম হবে। যা হল, তা ভাল হল না। বিধায়ক হওয়ার পরও ওনার মধ্যে জড়তার ভাব ছিল। এ জন্যই হয়তো ছিল। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ওকে তো বিধানসভাতেও খুব একটা যেতে দেখিনি। শপথ নিয়েছিল। তিন মাসের মধ্যে কী কাজ করবে! যা হল ভাল না। তবে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলেই সব রাজনৈতিক বিশ্লেষণের পরিবর্তন হয়ে যায় না।’