এই মুহূর্তে

লকেটও কী বিদ্রোহী! শান্তনুর সঙ্গে বৈঠকে অস্বস্তি বিজেপিতে

নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈঠক হল উত্তরাখণ্ডে। কিন্তু তার রেশ পড়ল বাংলার বুকে। শুধু রেশ পড়াই নয়, রীতিমত অস্বস্তির মুখে ফেলে দিল বিজেপিকে। নজরে লকেট-শান্তনু বৈঠক। বুধবার উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরের এক হোটেলে মুখোমুখি বৈঠকে বসেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সূত্রে জানা গিয়েছে, লকেটই নাকি শান্তনুকে বৈঠকে ডেকেছিলেন। যদিও দুইজনে এই বৈঠক ঘিরে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কিন্তু সেই গোপন বৈঠকের ঘটনা সামনে আসতেই বড়সড় অস্বস্তি পড়ে গিয়েছে বিজেপির বঙ্গ ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়ও কী এবার বিদ্রোহীদের দলে নিজের নাম লেখালেন? যদিও এখনই সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। তবে যেভাবে বঙ্গ বিজেপ্পিতে বিক্ষুব্ধদের নাম বেড়েই চলেছে তাতে করে লকেটের নাম সেই তালিকায় জুড়ে গেলে তাতে অস্বস্তির কিছু থাকবে না।

বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহের যে রেশ ছড়িয়ে পড়ছে সেই বিদ্রোহের মাথা যা শান্তনু সেটা এখন আর গোপন নেই। বিদ্রোহের রাশ টানতে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব জয়প্রকাশ মজুমদার ও রিতেশ তিওয়ারিকে দল থেকে সাসপেন্ডও করেছে। কিন্তু তাতেও বিদ্রোহ থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উল্টে বিক্ষুব্ধ থেকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছেন শান্তনু ঠাকুর যা বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে বিশেষ করে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্য সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে অস্বস্তিতে ফেলে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। ঘটনার জেরে অস্বস্তি ছড়াচ্ছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যেও। সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনু ও লকেটের গোপন বৈঠকের পরে শান্তনু ঠাকুরের কার্যকলাপে রাশ টানতে বঙ্গ বিজেপির নেতারা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নাকি অনুরোধও করেছে। যদিও শান্তনুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কোনও ঘটনা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে অন্তত দেখা যাচ্ছে না।

উত্তরাখণ্ডে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন লকেট। উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগর জেলার তিন-চারটি বিধানসভা এলাকায় বহু বাঙালি মতুয়া ভোটার রয়েছেন। সেই ভোট কার্যত ওই ৩-৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ন্ত্রণ করে। কেননা সেখানে এক একটি বিধানসভা কেন্দ্রে বাঙালি ভোটারের সংখ্যা এক থেকে দেড় লক্ষ পর্যন্ত। ওই ভোট যাতে বিজেপির ঝুলিতে আসে তার জন্য বাংলা থেকে লকেট ও শান্তনুকে প্রচারে নামানো হয়েছে। কিন্তু দুই সাংসদের বৈঠকের বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তো বটেই বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বও ঘুণাক্ষরেও জানতো না। আর এখানেই রহস্য দানা বেঁধেছে। কেন বৈঠক হয়েছে আর সেই বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে লকেট তাঁর ক্ষোভের কথা শান্তনুকে জানিয়েছেন এবং শান্তনুও সেই ক্ষোভের প্রশমণের আশ্বাস দিয়েছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

স্বপনে জেরবার বিজেপি, বারাসত হয়ে যাচ্ছে আসানসোল

রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ীই কেরোসিন বরাদ্দ করবে কেন্দ্র, নির্দেশ হাইকোর্টের

‘বাংলাবিদ্বেষী বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিকে উপহাস করছে’, তৃণমূলের আক্রমণে অস্বস্তিতে বিজেপি

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

পাহাড়পুরে বাড়ি ভাঙার কাজ স্থগিত ,আদালতে গেলেন বাড়ির মালিক

কপালে স্টিকিং প্লাস্টার নিয়ে ইফতারে হাজির মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর