এই মুহূর্তে




‘বাংলার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ’, বিপুল জয়ে উচ্ছ্বসিত মমতা




নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা ভোটে বাংলায় সবুজ ঝড় বয়ে গিয়েছে। বিজেপি দালাল সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচারে কান না দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উপরেই আস্থা রেখেছে বঙ্গবাসী। রাজ্যের ৪২ লোকসভা আসনের মধ্যে ৩০ আসনে জয়ী হয়েছে ঘাসফুল শিবির। আর ওই জয়ের জন্য বাংলার আম আদমির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘বাংলার মানুষ ফের আমাদের উপরে তাঁদের আস্থা রেখেছেন। তার জন্য তাদের অভিনন্দন আর শুভনন্দন জানাচ্ছি। সার্থক জনম আমার  মাগো জন্মেছি এ দেশে। বাংলার মানুষ বাংলার মেয়েকে জিতিয়েছেন। তাতে আমি সম্মানিত।’

মঙ্গলবার সকালে ভোট গণনা শুরু হতেই কালীঘাটের বাড়িতে বসে ফলাফলের দিকে নজর রেখে চলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক আসনে দলীয় প্রার্থীর এগিয়ে যাওয়া এবং জয়ী হওয়ার খবরে ক্রমশই মুখের হাসি চওড়া হতে থাকে। দুপুরেই কালীঘাটের বাড়িতে চলে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা-নেত্রী বৈঠকে বসেন। সন্ধে ছয়টার পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমেই দেশের মধ্যে সর্বাধিক ভোটে জেতার জন্য ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদকে অভিনন্দন জানান।

তার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘ভোটের আগে থেকে সিবিআই ও ইডিকে লেলিয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের হেনস্থা করা হয়েছে। অত্যাচার করা হয়েছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অত্যাচার হয়েছে বাংলায়। তবুও তৃণমূলের নিচুতলার নেতা-কর্মীরা বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। কাঁথি আসনে আমরাই জিতেছি। কিন্তু বিজেপির হয়ে কাজ করা পর্যেবক্ষকেরা শংসাপত্র আটকে রেখেছে। পর্যবেক্ষককে কাজে লাগিয়ে, এসব করে বেড়াচ্ছে বিজেপি। আমি ছেড়ে দেব না। রাজনৈতিক বদলা নেব। পুনর্গণনা চেয়েছি।’

চলতি লোকসভা ভোটে দেশের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার রাজীব কুমার বিজেপির দলদাস হিসাবে কাজ করেছেন বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে চলেছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। এদিন নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বিজেপির ‘হিমাস্টার্স ভয়েস’-এর মতো  কাজ করছে।  লজ্জা থাকলে সরে দাঁড়ানো  উচিত।’ মোদি-শাহের ইস্তফা দাবি করে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ যে বিজেপিকে চায় না, তা ফলাফলে প্রমাণিত।’ বুথফেরত সমীক্ষাকে ‘ভুয়ো’ আখ্যা দিয়ে মমতা বলেন, ‘যাঁরা বুথফেরত সমীক্ষা করেছিলেন, তাঁরা অনেকের মনোবল ভেঙে দিয়েছিলেন। ওই রিপোর্ট কোথা থেকে হয়েছিল জানি। বিজেপির দফতর থেকে মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্যই ওই রিপোর্ট তৈরি করেছিল।’ 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খাদিম-কর্তা অপহরণ মামলায় বেকসুর খালাস আখতার হোসেন

বদলে যাওয়া বাংলার গল্প শোনাতে লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডের পথে মমতা

প্রশাসনের কাছে পাকা বাড়ির দাবি জানালেন ঘরছাড়ারা, হাওড়ার আবর্জনা এবার ধাপায়

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কাঁথির কৃষি উন্নয়ন ব্যাঙ্কে ভোটের আর্জি,আবেদনে সাড়া দিল না উচ্চ আদালত

পাইকারি বাজারে হানা, কলকাতায় উদ্ধার ২০ লক্ষের জাল ওষুধ

বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে হবেন, বড় ইঙ্গিত দিলীপ ঘোষের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর