নিজস্ব প্রতিনিধি: একজন রাজ্যের দু’টি দফতরের মন্ত্রী, অন্যজন প্রাক্তন মন্ত্রী। একজন টালিগঞ্জের বিধায়ক, অন্যজন কামারহাটির। তবে দু’জনেই রাজনীতির লোক। একজন অরূপ বিশ্বাস, অন্যজন মদন মিত্র। কিন্তু দ্বাদশীর সন্ধ্যায় দু’জনকেই দেখা গেল অন্য ভূমিকায়। হাতে ঢাকের কাঠি তুলে নিলেন তাঁরা। তাঁদের বাজানো ঢাকে নেচে উঠলেন মণ্ডপে থাকা প্রত্যেকে।
দ্বাদশীর দিনেও নিরঞ্জন হবে শহরের বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপের প্রতিমা। তারমধ্যে অন্যতম আলিপুরের সুরুচি সঙ্ঘ এবং নর্থ ত্রিধারা। এই দুই পুজো মণ্ডপে শেষ লগ্নে দেখা গেল রাজ্যের দুই বিধায়ককে। নর্থ ত্রিধারার আসর জমিয়ে তুললেন মদন মিত্র। শুধু ঢাকই বাজালেন না, একইসঙ্গে গান ধরলেন, ‘ঢাকের তালে, কোমড় দোলে’। মণ্ডপে উপস্থিত মহিলারা নেচে উঠলেন তাঁর গানে। এদিন মদন মিত্রের পরণে ছিল কালো পাঞ্জাবি, কালো সানগ্লাস। তিনি বলেন, ‘এটা শোকের সাজ। মা চলে যাচ্ছেন, তাই কালো পরেছি। তবে মা যাবে গঙ্গে, আর আমি যাব বঙ্গে। নিরঞ্জনের পরেই আমি যাব খড়দায়, ভোটের প্রচারে।’
একদিকে যখন নর্থ ত্রিধারা মাতিয়ে তোলেন মদন মিত্র তখন অন্যদিকে ঢাকির ভূমিকায় পাওয়া গেল রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ এবং বিদ্যুৎ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। সুরুচি সঙ্ঘের পুজোর শেষলগ্নে ঢাকে বোল তুললেন কাঠিতে। এদিন তাঁর পরণে ছিল একটি গেরুয়া পাঞ্জাবি এবং সাদা পাজামা। ঢাক বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে মাঝেমধ্যে কোমড়ও দুলিয়ে ওঠেন তিনি।