এই মুহূর্তে




জোটে থাকুক কংগ্রেস, কিন্তু নেতৃত্বে নয়! একমত মমতা-পাওয়ার




নিজস্ব প্রতিনিধি: আরব সাগররের তীরে দাঁড়িয়ে বাংলার অগ্নিকন্যা স্পষ্ট করে দিয়েছেন দেশে এখন ইউপিএ বলে কিছু নেই। তবে তিনি এটাও জানেন কংগ্রেসকে বাদ দিয়েও কিছু হবে না। এনসিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবারের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শরদ পাওয়ার একমত হয়েছেন যে, কংগ্রেস বিজেপি বিরোধী জোটে থাকুক, তবে সেই জোটের নেতৃত্বে নয়। তারা থাকুক জোট শরিক বা সহযোগী দল হিসাবে। কিন্তু ঘটনা এটাই যে মমতা-শরদের এই ঐক্যমত্যকে মানতে নারাজ কংগ্রেস। যেহেতু মমতা জানিয়ে দিয়েছেন যে দেশে ইউপিএ বলে কিছু নেই তাই কংগ্রেস হাইকম্যান্ডও এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অলআউট আক্রমণে নামতে চলেছে। এর নমুনা মিলেছে মেঘালয়ে। সেখানে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ১২জন বিধায়ককে নোটিস পাঠিয়েছেন মেঘালয় বিধানসভার স্পিকার মেটবা লিংডো। সেই নোটিসে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের তরফ থেকে তাঁকে চিঠি দেওয়া হয়েছে ও প্রশ্ন করা হয়েছে দলত্যাগী ওই ১২ বিধায়কের সদস্যপদ কেন খারিজ করা হবে না। স্পিকার তাই ওই ১২জন বিধায়ককে এই প্রশ্নের জবাব চেয়ে পাঠিয়েছেন।

মেঘালয়ের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন সূত্রে আসেনি। মমতা নিজে খুব ভালভাবেই জানেন তাঁর চলার পথ কত বন্ধুর। কংগ্রেস সে অর্থে কোনওদিনই তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। বিশেষ করে প্রদেশ কংগেস নেতৃত্ব। গান্ধি পরিবারের সঙ্গে মমতার সম্পর্কে জোয়ার ভাটা খেললেও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব অন্ধ মমতা বিররোধীতাকেই আঁকড়ে ধরে থেকেছে এবং এখনও আছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলার জন্য, বঙ্গবাসীর জন্য মমতাকেই একলা লড়ে যেতে হয়েছে। আগামী দিনেও জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে বিজেপিকে ধাক্কা দিতে গেলে মমতাকে যে একা পথেই এগোতে হবে সেটাও তিনি জানেন। সঙ্গে কিছু আঞ্চলিক দল থাকবে ঠিকই কিন্তু সেটা জমাট বাঁধবে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে। তৃণমূল আসন সংখ্যার বিচারে যতক্ষন না কংগ্রেসকে ছাপিয়ে যাচ্ছে ততক্ষন কংগ্রেস নেতৃত্ব দেশজুড়েই তৃণমূলকে চাপে রাখার পথে হাঁটা দেবে। মেঘালয় সেই ফর্মুলারই প্রয়োগক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। সেখানে দুইবারের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২জন বিধায়কের পদ খারিজের জন্য এখন উঠেপড়ে লেগেছে কংগ্রেস।

এর পাশাপাশি এটাও ঠিক যে কংগেস যতই চাপের নীতি নিক না কেন, তাঁদের স্ট্রাইকিং রেট এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। অর্থাৎ ১০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে ১০জনও জিতবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট খটকা আছে। সেখানে তৃণমূলের স্ট্রাইকিং রেট অনেক ভালো। বাংলার ৪২ আসনে প্রার্থী দিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হেসেখেলে ৩৬টি আসন পাওয়ার জায়গায় রয়েছে তৃণমূল। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের চেষ্টা হচ্ছে অনান্য কিছু আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট বেঁধে আরও বেশি আসন ভিন্ন ভিন্ন রাজ্য থেকে বের করে আনা। কিন্তু এই জোট গড়ার পথেই কাঁটা হতে চলেছে কংগ্রেস। কার্যত নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে তাঁরা এখন অন্ধ মমতা বিরোধীতার পথেই হাঁটা দিতে চলেছে। এতে তৃণমূলের পথ বন্ধুর হবে ঠিকই, কিন্তু সেই পথের যাত্রা থেমে যাবে না। বরঞ্চ বাংলার অগ্নিকন্যা হিসাবে মমতা যে একক লড়াই চালিয়ে এসেছেন বাম ও বিজেপির বিরুদ্ধে তা দেশজুড়ে আরও ব্র আকার নেবে। সেটাই কিন্তু ধাক্কা দেবে কংগ্রেসকে। কার্যত চূড়ান্ত নিষ্ক্রিয় ও খামখেয়ালিপনায় চালিত একটি দল যে মোদি বা বিজেপির বিরুদ্ধে জমাট লড়াইয়ে নামতে পারছে না সেটা বার বার প্রমাণিত হচ্ছে। তাই কংগ্রেসের হাতে আর জোটের লাগাম ছাড়তে নারাজ মমতা। তাঁর ইচ্ছা কংগ্রেস জোটে থাকুক কিন্তু নেতৃত্বের রাশ থাকুক বড় শক্তির হাতে। সেটা পাওয়ারও হতে পারেন, তিনি নিজেও হতে পারেন। কেননা মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, গুজরাত, কেরলের মতো রাজ্যে কংগ্রেসই বিজেপি বিরোধী প্রধান শক্তি। মমতা সেখানে আঘাত হানতে চান না। কিন্তু যেখানে যেখানে কংগ্রেস দুর্বল সেখানে সেখানেই এবার তৃণমূল ঝাঁপাবে তাঁদের নিজেদের শক্তি বাড়ানোর জন্য। বিশেষ করে সেই সব রাজ্যে যেখানে বিকল্প কোনও আঞ্চলিক দল শক্তিশালী ভূমিকা নিতে পারছে না বিজেপি বিরোধী লড়াই লড়তে। 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘কুলতলির ঘটনাতে তিন মাসের মধ্যে ফাঁসির অর্ডার হোক, সেটাই চাই’, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

পার্ক স্ট্রিট থানায় মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে শ্লীলতাহানি

সরলেন বাবুন, এলেন সুজিত, পুজোর আবহেই বদল Hockey Bengal-এ

‘কর্মবিরতি করলেন আবার ৩২ হাজার টাকা স্টাইপেন্ডও নিলেন’, ডাক্তারদের নিশানা কল্যাণের

অসুর হয়ে হাজির বৃষ্টি, হকার- ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

কোল্ড ড্রিঙ্কস অমলেট! পুজোর কলকাতা মাতাচ্ছে নতুন স্ট্রীট ফুড

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর