27ºc, Haze
Friday, 24th March, 2023 10:16 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি একটি তথ্য সামনে এসেছে। আর তা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলায়(Bengal) হু হু করে বাড়ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা RSS’র শাখা। গত ১ বছরেই বাংলায় সঙ্ঘের শাখা বেড়েছে প্রায় ৬০০টি। সব থেকে বেশি নতুন শাখা হয়েছে মধ্য বঙ্গে যেখানে রাজ্যের প্রায় অর্ধেক সংখ্যালঘু সমাজের মানুষের বসবাস রয়েছে। সেই সব জেলার মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) যেখানে কিছুদিন আগেই সাগরদিঘী(Sagardighi) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে(TMC) যেমন হারের মুখ দেখতে হয়েছে তেমনি বিজেপি(BJP) প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্তও হতে হয়েছে। সেই উপনির্বাচনে জয়ের মুখ দেখে কংগ্রেস। সেই প্রদেশ কংগ্রেসেরই সভাপতি তথা সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে(Adhir Ranjan Chowdhury) রবিবার সঙ্ঘের আজ্ঞাবহ ও বিজেপির লোক বলে শানিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন Mega Textile Cluster Project-এও বাংলাকে বঞ্চনা মোদির
রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে বৈঠক করেন মমতা। নেত্রীর সঙ্গে কথা বলেন জেলার সাংসদ, বিধায়ক-সহ ৬জন নেতা। নেত্রী তাঁদের সঙ্গে প্রায় ২০ মিনিট ফোনে কথা বলেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, সাগরদিঘী উপনির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর মুর্শিদাবাদ সফরে যাবেন তিনি। এদিনের ফোন-বৈঠকের শুরুতেই নেত্রী স্পষ্ট জানান, শুক্রবার কালীঘাটের মেগা বৈঠক নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক খবর রটেছে যা সত্যি নয়। একশ্রেনীর সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে সেদিনের বৈঠকে নাকি মমতা জেলার সাংসদ আবু তাহের, খলিলুর রহমানদের ভর্ৎসনা করেন। তিনি কিন্তু এখনও আবু তাহের, খলিলুর রহমান-সহ গোটা জেলা নেতৃত্বের ওপর যথেষ্ট আশা, ভরসা রেখেছেন। তাই সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সাগরদিঘির উপনির্বাচনে হারের ক্ষত ভুলে সবাইকে একসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজে ঝাঁপাতে হবে।
আরও পড়ুন ‘বিরোধী জোটের অনেক মুখ রয়েছে’, মমতার প্রশ্নে নীরব মুলায়মপুত্র
এর পাশাপাশি এদিন মমতা আক্রমণ শানিয়েছেন অধীরকে। আক্রমণ শানিয়েছে রাহুল গান্ধিকেও(Rahul Gandhi)। তিনি বলেছেন, ‘সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হয়েছে। সাগরদিঘিতে টাকার খেলা চলেছে। কিন্তু জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে মাঠে নেমে সরকারি প্রকল্পগুলির বিশেষত সংখ্যালঘুদের জন্য যে যে কাজ হয়েছে, তা সবিস্তারে জানানো, বোঝানোর কাজ করতে হবে। শুনতে হবে অভাব-অভিযোগের কথা। দল যে কর্মসূচী দিয়েছে সেই কাজ করতেই হবে৷ জেলায় মানুষ কোন কোন বিষয়ে অভাব-অভিযোগ জানাচ্ছেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের কাছে রিপোর্ট আসছে। মানছি, সাগরদিঘিতে আমরা হেরেছি। তবে সেখানে অনৈতিক জোট হয়েছিল, টাকার খেলা চলেছে। সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে ভোটের ফলে সবকিছু স্থির হয় না। প্রতি পঞ্চায়েত ও ব্লকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করতে হবে।’ এরপরেই মমতা আক্রমণ করেন অধীর আর রাহুলকে বলেন, ‘অধীর RSS’র কথায় কাজ করছেন। তিনিই বিজেপির এক নম্বর লোক। বুঝতে পারছেন তো? আর বিজেপি তো রাহুল গান্ধীকে মূল বিরোধী হিসেবে তুলে ধরতে পারলে তাদেরই লাভ। অন্য বিরোধীদের দুর্বল করে দেওয়া যাবে। আমি বিজেপির কাছে মাথা নোয়াবও না, কংগ্রেসই বিজেপির কাছে মাথা নত করে বসে আছে।’