এই মুহূর্তে

যোজনা কমিশন নিয়ে মোদিকে ধিক্কার মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি: যোজনা কমিশন। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর হাত ধরে ১৯৫০ সালের ১৫ মার্চ জন্ম নেওয়া ভারত সরকারের এক প্রতিষ্ঠান যার কাজই ছিল পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের নির্মাণ সাধন। সেই নির্মাণ নজর দিয়েছিল দেশের আর্থিক বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে শিল্প ও কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করা দিকে, ভারী শিল্প নির্মাণের দিকে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে, সেচ ব্যবস্থা গড়ে তোলেয়ার দিকে, দেশের মানুষের আর্থিক ও সামজিক উন্নয়ন ঘটানো। কিন্তু এই যোজনা কমিশনের কথা সর্বপ্রথম উল্লেখ করেছিলেন দেশবরণ্য দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৩৮ সালে হরিপুরা কংগ্রেসের তিনিই প্রথম ‘প্ল্যানিং কমিশন’ বা যোজনা কমিশনের কথাটি প্রথম ঘোষণা করেন। রবিবার তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে সেই যোজনা কমিশনকে তুলে দেওয়ার জন্যই মোদি সরকার ও বিজেপিকে সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে জানিয়ে দিলেন দেশ থেকে যোজনা কমিশনকে বিদায় দেওয়া হলেও বাংলায় প্ল্যানিং কমিশন গড়বেন তিনি।

ইতিহাস পথ ধরে একটু পিছনে হাঁটা দিলে দেখা যাবে ১৯৩৮ সালে, কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে নেতাজি ‘জাতীয় পরিকল্পনা কমিটি’ গড়ে দেন নেহরুকে চেয়ারম্যান করে৷ পনেরো জনের সেই কমিটিতে যেমন মেঘনাদ সাহা এবং জ্ঞানচন্দ্র ঘোষের মতো বিজ্ঞানীরা ছিলেন, আবার ছিলেন রাধাকমল মুখার্জির মতো অর্থনীতিবিদ৷ ‘জাতীয় পরিকল্পনা কমিটি’র চেয়ারম্যান হিসেবে নেহরু সেই সময় বলেছিলেন, দারিদ্র ও বেকারত্বের সমস্যা, জাতীয় নিরাপত্তা কিংবা অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন- কোনওটাই সম্ভব নয় শিল্পায়ন ছাড়া৷ নেহরু দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে পরেই সেই জাতীয় পরিকল্পনা কমিটিকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে হাত দেন। গড়ে তোলেন যোজনা কমিশন যাকে মোদি তুলে দিয়েছেন। দেশে আজ আর তাই রাষ্ট্রনির্মাণের লক্ষ্যে কোনও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দেখা মেলে না। দেশের উন্নয়নও হয় না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে কিন্তু এই যোজনা কমিশন আর তাঁদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাই দেশে ভারি শিল্প, আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে বাস্তব রূপ দিয়েছিল।  

সেই যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে মোদি নীতি আয়োগ গড়েছেন। যদিও তাতে রাষ্ট্রনির্মাণের কোনও ভাবনাই ধরা পড়ে না। এদিন ময়দানে নেতাজির জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদি সরকার ও বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘নেতাজির তৈরি করা প্ল্যানিং কমিশন বর্তমান ভারত সরকার তুলে দিয়েছে। লজ্জা জানানোর ভাষা নেই! ধিক্কার। দিল্লি বাদ দিতে পারে, কিন্তু বাংলা তো পারে না। তাই আমরা বাংলায় প্ল্যানিং কমিশন গড়ছি।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

স্বপনে জেরবার বিজেপি, বারাসত হয়ে যাচ্ছে আসানসোল

রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ীই কেরোসিন বরাদ্দ করবে কেন্দ্র, নির্দেশ হাইকোর্টের

‘বাংলাবিদ্বেষী বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিকে উপহাস করছে’, তৃণমূলের আক্রমণে অস্বস্তিতে বিজেপি

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

পাহাড়পুরে বাড়ি ভাঙার কাজ স্থগিত ,আদালতে গেলেন বাড়ির মালিক

কপালে স্টিকিং প্লাস্টার নিয়ে ইফতারে হাজির মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর