নিজস্ব প্রতিনিধি: সকালেই টুইট করে দিয়েছিলেন ঈদের শুভেচ্ছাবার্তা। পরে কলকাতার(Kolkata) রেডরোড থেকে নিশানা শানলেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকারকে। ঈদের সকালেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) দেখা গেল সেই পুরাতন মেজাজেই। একদিকে সংখ্যালঘু মানুষদের পাশে থাকার বার্তা অন্যদিকে দেশের বিভাজনকামী শক্তির বিরুদ্ধে রণহুঙ্কার। মঙ্গলবার সকালে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেন। তাতে তিনি লেখেন,‘ঈদ মোবারক! সকলের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। প্রার্থনা করি যেন আমাদের ঐক্য ও সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। আল্লাহ সবাইকে আশীর্বাদ করুক।’ এরপরেই রেডরোড থেকে মোদি সরকারকে নিশানা শানেন মুখ্যমন্ত্রী।
মাথার ওপর ঘন কালো মেঘ থাকা সত্ত্বেও এদিন সকাল থেকেই হাজারো সংখ্যালঘু ধর্মপ্রাণ মানুষ কলকাতার রেড রোডে(Red Road) হাজির হন ঈদের নামাজে সামিল হতে। সেখানেই প্রতি বছরের মতো এবারও হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee), মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)-সহ অন্যান্য নেতা-মন্ত্রীরা। সেখান থেকেই তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান অবস্থা ঠিক নয়। ধর্মের নামে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে সর্বত্র। দেশে বিভাজনের রাজনীতি করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলা এভাবে ভাবে না। এখানে একসঙ্গে মিশেমিশে থাকতে জানে সবাই। এখানে সবাই সমান। তৃণমূল সরকার থাকতে এই বিভাজনের রাজনীতি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। দেশকে যারা টুকরো করতে চায়, হিংসা ছড়াতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করব। তার জন্য আপনাদের প্রার্থনা কাম্য। বিভাজনের রাজনীতি, হিংসার রাজনীতি কেউ মেনে নেবে না। হিন্দু-মুসলিম-শিখ-ইশাই সবাইকে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে হবে। মিথ্যে আচ্ছে দিন নয়, সকলের জন্য সত্যিকারের আচ্ছে দিন আসবে তৃণমূল সরকারের হাত ধরেই। এবং তা শুধুই কথার কথা নয়। এতদিন যেভাবে প্রশাসন সকলের পাশে দাঁড়িয়েছে, আগামী দিনেও সেভাবেই সঙ্গে থাকবে।’
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশকে যারা টুকরো করতে চায়, হিংসা ছড়াতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করব। তার জন্য আপনাদের প্রার্থনা কাম্য। বাংলায় তৃণমূল সরকার থাকতে বিভাজনের রাজনীতি, হিংসার রাজনীতি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। বাংলায় এসব হয় না। আমাদের সরকার ঈদের জন্য ২দিন ছুটি দিয়েছে। এখানে সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে জানে। মিলেমিশে থাকতেও হবে।’