নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটতেই বাড়তে শুরু করে দিয়েছে জ্বালানির দাম। রান্নার গ্যাসের দাম একধাক্কায় ৫০টাকা বাড়িয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাগুলি। এরপর থেকে প্রতিদিনই একটু একটু করে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়িয়ে চলেছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন মোদি সরকার। খাস কলকাতায় পেট্রোলের(Petrol) দাম ১১০টাকা ছুঁই ছুঁই করছে। আর ডিজেল(Diesel) সেও ১০০টাকা ছুঁইছুঁই করছে। এই অবস্থায় রবিবার উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার গোঁসাইপুর থেকে জ্বালানির দামবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) নাম না নিয়েই তাঁকে তীব্র আক্রমণ শানলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
এদিন মমতা মোদির নাম না নিয়েই বলেন, ‘ওষুধের দাম আবার বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার গ্যাসের দাম বেড়েছে৷ ইউপিতে জিতেই আবার বাড়িয়ে দিয়েছে। রিটার্ন গিফট। জ্বালানি, ওষুধ সব দাম বাড়িয়ে দিলেন। এগুলো যাতে মানুষ মনে না রাখে তাই এইসব কাজ করানো হয় টিভি দিয়ে। ডেডবডির রাজনীতি করছো! ডেউচা পাঁচামি যাতে না হয় তাই রামপুরহাট করে দিয়েছেন। তাজপুরে বন্দর হচ্ছে তাই এত হিংসা। উত্তরেও শিল্প বাড়ছে। আসল উদ্দেশ্য যাতে শিল্প না হয়, চাকরি না হয়। যাতে জ্বালানির মূল্য বাড়লে মানুষ প্রতিবাদ না করতে পারে৷ তাই এতসব। গত ৬ দিনে ৫ বার দাম বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের। শীঘ্রই ১০০-র বেশি জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একের পর এক জনবিরোধী পদক্ষেপ করে চলেছে। জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের বোঝা বাড়াচ্ছে তারা। উত্তরপ্রদেশ ভোটের আগে বেশ কিছুদিন তেলের দাম বাড়েনি। কিন্তু আমরা বুঝেছিলাম, ভোট শেষ হলে বিজেপি আসল পথে চলবে। আমরা যে ভুল নই, বিজেপি তা দেখিয়ে দিয়েছে। তেলের দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধি করে মানুষের উপরে বোঝা বাড়াচ্ছে তারা।’