নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অমিত শাহ ডাক দিয়েছিলেন ‘আব কে বার ২০০ পার’। কিন্তু ২০০ তো বহু দূর, তার অর্ধেক ১০০-ও ছুঁতে পারেনি বিজেপি। তাঁদের দৌড় থেমে গিয়েছিল ৭৭টি আসন পেয়েই। পরে তাঁদের দুই বিধায়ক পদত্যাগ করায় তা কমে দাঁড়ায় ৭৫। এরপরেও বেশ কিছু বিজেপি বিধায়ক পা বাড়ান তৃণমূলের পথে। এদের অন্যতম উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী(Krishna Kalyani)। বুধবার রাজ্য বিধানসভায়(State Legislative Assembly) ছিল রাজ্য বাজেটের ওপর আলোচনার শেষ দিন। আগে থেকেই ঠিক ছিল এদিন বিধানসভায় রাজ্য বাজেটের আলোচনার ওপরে জবাবী ভাষণ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ভাষণ দেওয়ার সময়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, কৃষ্ণ কল্যাণী তাঁকে জানিয়েছেন শুভেন্দু তাঁকে হুমকি দিয়েছেন তাঁর বাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা হানা দেবেন।
এদিন রাজ্য বিধানসভায় চলতি অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেটের ওপর আলোচনার শেষে জবাবী ভাষণের দিন ছিল। প্রথা মতো মুখ্যমন্ত্রীর আগে বক্তব্য রাখার জন্য ওঠেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় তাঁর বক্তব্যের বিরোধীতা করতে থাকেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা ৪জন বিধায়ক। এরা হলেন রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী, কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায়, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ ও বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। পরে বক্তব্য রাখতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বক্তব্য রাখার সময়েই শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়কেরা ওয়াকআউট করেন। সেই সময়েই শুভেন্দুকে কিছু বলতে দেখা যায় কৃষ্ণ কল্যাণীকে। তার জেরে দুইজনের মধ্যে সেই সময় সামান্য বচসা বাঁধতেও দেখা যায়। পরে এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষ্ণ কল্যাণী আমাকে জানিয়েছে শুভেন্দু ওঁকে হুমকি দিয়েছে। শুভেন্দু আয়করের নোটিস দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তাহলেই বুঝুন কে আয়কর দফতর চালায়, কে-ই বা চালায় সিবিআই।’ মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে কৃষ্ণ কল্যাণী এই নিয়ে বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করেন ও সেখানেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনেন।
এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী পেগেসাস নিয়েও সরব হন। তিনি বলেন, ‘পোগাসাস কেনার প্রস্তাব আমার কাছেও এসেছিল। কিন্তু আমি কিনিনি। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি তা কিনেছিল। মানুষের বাক স্বাধীনতার কথা ভেবেই আমি পেগাসাস কিনিনি। কিন্তু চন্দ্রবাবুর শাসনকালে অন্ধ্র পেগাসাস সফটওয়্যার কিনেছিল। এখন সেই পেগাসাসের জন্যই আমার ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। কারও সঙ্গে কথাও বলা যাবে না। শুভন্দু অধিকারী আমাদের ধমকি দিয়ে গেলেন।’