সকালের রেড রোড থেকে বিকালের রাজভবন, একত্রে মমতা-ধনকর
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভিড় বাসে তাঁদের নিয়ে চলে বেশ রসিকতা। 'সারাবছর করেন তাঁরা ঝগড়া, আর মোদি এলেই হয়ে যান হরিহর আত্মা'- এই জাতীয় কথাবার্তা এখন ভিড় বাসে একটু কান পাতলেই শোনা যায়। তবে যাদের ঘিরে এই কথাবার্তা তাঁরা কিন্তু ঝগড়াটা যেমন বেশ মন দিয়ে করেন তেমনি সৌজন্যবোধটাও লোকসমক্ষে বেশ ভালই দেখান একে অপরের প্রতি। দেশের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসেও তাই তাঁরাই থেকে গেলেন রাজ্য রাজনীতির সব থেকে চর্চিত কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে। সকালের রেড রোড থেকে বিকালের রাজভবন দুই জায়গাতেই দুইজনকে দেখা গেল কার্যত হরিহর আত্মা রূপেই। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিগত দুই বছরে একাধিকবার সামনে এসেছে রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের সঙ্ঘাত। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এদিন কিন্তু যাবতীয় সংঘাত ভুলে প্রোটোকল মেনে রেড রোড ও রাজভবনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের পাশেই। অবশ্য এই বছর এই পাশাপাশি তাঁদের দেখা যাওয়ার শুরুটা হয়েই গিয়েছিল গত ২৩শে জানুয়ারি। যখন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে তাঁদের দুইজনকে পাশাপাশি দেখা গিয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর সরকারি অনুষ্ঠানে। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীকে যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর সামনে হেনস্থা হতে হয়েছিল তা দেখেছে গোটা ভারতবর্ষ। রাজ্য রাজনীতিতে তো বটেই, জাতীয় স্তরের রাজনীতিতেও এই ঘটনায় মুখ পুড়েছে গেরুয়া ব্রিগেডের। মমতা বা রাজ্য সরকারের প্রায় সব ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্যপালকে বিগত দুই বছর ধরে কার্যত আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গিয়েছে সেই রাজ্যপালই কিন্তু ভিক্টোরিয়ার ঘটনা নিয়ে কার্যত চুপ। গেরুয়া শিবিরের নেতারা মমতাকে আক্রমণ চালিয়ে গেলেও রাজ্যপাল কিন্তু সে পথে এখনও প্ররযন্ত হাঁটা দেননি।
এরপরে এদিন সকালে সস্ত্রীক রাজ্যপাল যোগ দিয়েছেন কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে। সেখানেও নানা মুহুর্তে রাজ্যপালকে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে। আর এদিন বিকালে তো রাজভবনেই মুখ্যমন্ত্রী চলে গেলেন সব বিবাদ ভুলে। রাজ্যপালের ডাকা চা চক্রে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিকেল ঠিক চারটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছন। রাজ্যপালের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁর। ওই চা চক্রে আমন্ত্রিত বিভিন্ন মহলের বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গেও দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। কথাও বলেন তিনি। নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজভবনে চা চক্রের আয়োজন করেন রাজ্যপাল। চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানান ধনকড়। প্রোটোকল মেনে মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্যপুলিশের ডিজি-সহ শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। সেখানেও নানা মুহুর্তে পরস্পরকে কথা বলতে দেখা যায় বেশ হাসি মুখেই।
বিগত দুই বছরে একাধিকবার সামনে এসেছে রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের সঙ্ঘাত। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এদিন কিন্তু যাবতীয় সংঘাত ভুলে প্রোটোকল মেনে রেড রোড ও রাজভবনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের পাশেই। অবশ্য এই বছর এই পাশাপাশি তাঁদের দেখা যাওয়ার শুরুটা হয়েই গিয়েছিল গত ২৩শে জানুয়ারি। যখন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে তাঁদের দুইজনকে পাশাপাশি দেখা গিয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীর সরকারি অনুষ্ঠানে। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীকে যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর সামনে হেনস্থা হতে হয়েছিল তা দেখেছে গোটা ভারতবর্ষ। রাজ্য রাজনীতিতে তো বটেই, জাতীয় স্তরের রাজনীতিতেও এই ঘটনায় মুখ পুড়েছে গেরুয়া ব্রিগেডের। মমতা বা রাজ্য সরকারের প্রায় সব ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্যপালকে বিগত দুই বছর ধরে কার্যত আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গিয়েছে সেই রাজ্যপালই কিন্তু ভিক্টোরিয়ার ঘটনা নিয়ে কার্যত চুপ। গেরুয়া শিবিরের নেতারা মমতাকে আক্রমণ চালিয়ে গেলেও রাজ্যপাল কিন্তু সে পথে এখনও প্ররযন্ত হাঁটা দেননি।
এরপরে এদিন সকালে সস্ত্রীক রাজ্যপাল যোগ দিয়েছেন কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে। সেখানেও নানা মুহুর্তে রাজ্যপালকে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে। আর এদিন বিকালে তো রাজভবনেই মুখ্যমন্ত্রী চলে গেলেন সব বিবাদ ভুলে। রাজ্যপালের ডাকা চা চক্রে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিকেল ঠিক চারটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছন। রাজ্যপালের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁর। ওই চা চক্রে আমন্ত্রিত বিভিন্ন মহলের বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গেও দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। কথাও বলেন তিনি। নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজভবনে চা চক্রের আয়োজন করেন রাজ্যপাল। চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানান ধনকড়। প্রোটোকল মেনে মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্যপুলিশের ডিজি-সহ শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। সেখানেও নানা মুহুর্তে পরস্পরকে কথা বলতে দেখা যায় বেশ হাসি মুখেই।
More News:
6th March 2021
6th March 2021
ভারতী বনাম হূমায়ন, ডেবরার মাঠে ভোটযুদ্ধে দুই প্রাক্তন আইপিএস
6th March 2021
6th March 2021
6th March 2021
6th March 2021
6th March 2021
Leave A Comment