নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি চাকরি পাওয়ায় কেতুগ্রামের নার্স রেনু খাতুনের ডান হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মহম্মদ শেখ ওরফে শরিফুলের বিরুদ্ধে। কাটা হাত নিয়েই নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য হাসপাতালের বেডে শুয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এবার সেই রেনু খাতুনের পাশে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ভবানীপুরে দাঁড়িয়ে রেনুর পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রেনু যাতে উপযুক্ত কাজ পায় সে বিষয়ে রাজ্য সরকার দেখবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসার খরচ এবং কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করবে সরকার বলে জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
বুধবার উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নিউটাউনে একটি এয়ারক্রাফট মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন তিনি। এর পর ভবানীপুরে খুন হওয়া শাহ দম্পতির বাড়িতে যান। সেখানে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে দাঁড়িয়ে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা রেনু খাতুনের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় গিয়ে দেখা করেছেন ওই তরুণীর সঙ্গে। নার্সিং পরীক্ষার প্যানেলের ২২ নম্বরে নাম ছিল ওই তরুণীর। তার ডান হাত নেই। তাই সে যে কাজটা করতে পারে আমরা তার ব্যবস্থা করব।’ পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে রেণুর চিকিৎসার খরচ বহন করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ওই তরুণী যেখানে চিকিৎসা করিয়েছেন সেখানে ৫৭ হাজার টাকা নিয়েছে। এটা স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে হয়নি, কেন হয়নি তা দেখছি। মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছি।’ ওই নার্সের হাত কাটা যাওয়ায় তাঁর জন্য কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মানবিক ঘোষণার প্রশংসা করছেন সবাই।
উল্লেখ্য শনিবার রাতে পেশায় নার্স রেণু খাতুনের ডান হাত কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামী শেখ মহম্মদের বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে এবং তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী আক্রান্তের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন।