এই মুহূর্তে




কার্যত নিস্ক্রিয়, তৃণমূলের শাখা সংগঠনেও বড় রদবদল ঘটাতে পারেন মমতা




নিজস্ব প্রতিনিধি: বিধানসভা ভোটের বাকি ১৫ মাসের মতো। বিরোধীরা কার্যত ছত্রখান অবস্থায় রয়েছে। তবুও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এখন থেকেই বিধানসভা ভোটের জন্য সংগঠনকে মাঠে নামাতে চাইছেন তিনি। আর মাঠে নামানোর আগেই মূল সংগঠন থেকে শুরু করে শাখা সংগঠনে এক বড় রদবদল ঘটিয়ে ঝাঁকি দিতে চাইছেন। বিশেষ করে দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতৃত্বে বড় রদবদল আনতে পারেন তিনি। ওই রদবদলের মাধ্যমে বাকি শাখা সংগঠনে পদ আঁকড়ে থাকা নেতা-নেত্রীদেরও বিশেষ বার্তা দেওয়া হবে, ‘হয় পারফরম্যান্স দেখাও, না হলে বিদায় নাও।’

প্রশাসনিক প্রধান হলেও সংগঠনের উপরে রাশ যে তিনি মোটেও আলগা হতে দিতে চান না তা সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েই স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘আগামী ১০ বছর তিনিই সংগঠন দেখভাল করবেন। দলের মধ্যে থেকে কোনও রকম অনুশাসনহীনতা যে বরদাস্ত করবেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের জন্য সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তাতে একদিকে যেমন বিতর্কিত নেতাদের ছেঁটে ফেলা হবে, তেমনই যারা পদ আঁকড়ে নিস্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন, তাদেরও সরিয়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই দলে শুদ্ধিকরণ অভিযান শুরু হয়েছে। ওই শুদ্ধিকরণ অভিযানে যে সমস্ত নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে কিংবা যাঁদের বিতর্কিত আচরণে দলকে বিব্রতকর অবস্থায় পরতে হচ্ছে তাদের রেয়াত করা হচ্ছে না। সাম্প্রতিককালে শান্তনু সেন, আরাবুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর, নারায়ণ গোস্বামী সহ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব পরিস্কার বার্তা দিয়েছেন, ‘দল আগে, ব্যক্তি পরে’।

তবে শুধুমাত্র মূল সংগঠনকেই ঝাঁকুনি দিতে চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাখা সংগঠনগুলিকেও ঢেলে সাজাতে চলেছেন। মহিলা কংগ্রেস ও শ্রমিক শাখা আইএনটিটিইউসি ছাড়া তৃণমূলের বাকি শাখা সংগঠনগুলির ভূমিকা খুব একটা আশাব্যঞ্জক বা চোখে পড়ার মতো নয়। বিশেষ করে দলের ছাত্র, যুব শাখার ভূমিকা নিয়ে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ তৃণমূল সুপ্রিমো। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যখন রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি কলুষিত করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল, তখন ছাত্র ও যুব শাখার নেতা-নেত্রীদের দেখা মেলেনি। কার্যত কর্পূরের মতো উবে গিয়েছিলেন। তাছাড়া রাজ্য সরকারের সাফল্য তুলে ধরার ক্ষেত্রেও তাদের কোনও সদর্থক প্রয়াসও লক্ষ্য করা যায়নি। ছাত্র ও যুব শাখার পাশাপাশি তৃণমূলের এসসি, এসটি, ওবিসি সেল এবং কৃষক-খেত মজুর শাখা সংগঠনের পারফরম্যান্সকেও খুব একটা সদর্থক নয়। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথা অনুযায়ী, ‘শাসকদলের শাখা সংগঠনের পদাধিকারী হিসাবে বেশ কয়েকজন বাড়তি সুবিধা ভোগ করেন। অথচ দলের প্রয়োজনের সময়ে তাদের দেখা মেলে না। সারা বছর কর্মসূচিতে রাজপথে দেখাও যায় না। ওই সুবিধাভোগী নেতা-নেত্রীদের উপর দলনেত্রী (পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) নজর রাখছেন। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপই নেবেন তিনি।’

 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জামতারা গ্যাংকে নিধনে রাজ্য পুলিশ গঠন করল অপারেশন সার্ভার ‘শক্তি’

মাত্র ১ টাকায় চিকেন বার্গার! খেতে হলে আসুন এখানে

বিএসএফের পোশাক পড়ে পাচার করতে গিয়ে মালদা সীমান্তে গ্রেফতার ৩ পাচারকারী

জোরপূর্বক চিকিৎসা করাতে আসা শিশু কন্যার বমি পরিষ্কার করানো হল তার বাবাকে

নারকেলডাঙার তৃণমূল কাউন্সিলরকে শোকজ করে ৫ দিনের মধ্যে জবাব চাইল নেতৃত্ব

ভোটার তালিকা তৈরিতে অনলাইনের নামে জালিয়াতির শঙ্কা, রুখতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর