নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য রাজনীতিতে DA বা মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে তাপ উত্তাপ ক্রমশই বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের হারে DA বা মহার্ঘ্য ভাতা দিতে হবে এমনই দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের(West Bengal State Government Employee) একাংশ। সেই আন্দোলন ও কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার দাবি প্রসঙ্গে সোমবার রাজ্য বিধানসভায় মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। নিজ বক্তব্য এদিন মুখ্যমন্ত্রী যেমন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কর্মীদের মধ্যে বেতন কাঠামোর ফারাকের কথা তুলে ধরেন তেমনি তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় সরকারের(Central Government) সঙ্গে রাজ্যের ছুটির ফারাকের প্রসঙ্গটিও। সেই সঙ্গে জানান, ‘সিপিএম আমলের ডিএ বাকি ছিল। ৩৪ বছরে পুরো ডিএ দেয়নি। আমাদের আমলে কিন্তু ৯৯ শতাংশ ও ৬ শতাংশ মিলিয়ে রাজ্যে ১০৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন রাজ্য বিধানসভায় অরূপ-নওশাদ বৈঠক
সোমবার রাজ্য বিধানসভায় প্রথমে মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে প্রথমে মুখ খোলেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya)। তিনি বলেন, ‘ডিএ নিয়ে অনেক কথা বলা হয়। তা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘোষণা হয়েছিল ডিএ। প্রস্তাব হয়নি। পঞ্চম পে কমিশনে যা বকেয়া রেখে গিয়েছিল তাও দিয়েছি। কোনও রাজ্যে পেনশন দেওয়া হয় না। আমাদের রাজ্যে দেওয়া হবে। সেটা কি বন্ধ করে দেওয়া হবে? এটাই কি চাইছেন বিরোধীরা? পেনশন না দিলে রাজ্যের ২০ হাজার কোটি টাকা বাঁচত।’
আরও পড়ুন কেষ্ট’র তিহার যাত্রা ঠেকাতে পারল না কেউ
এরপরেই মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্য জানান। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন কাঠামো আলাদা রাজ্যের থেকে। আর কেন্দ্রের সরকার কত দিন ছুটি দেয়? আমরা দুর্গাপুজোয় দশ দিন ছুটি দিই। ছট পুজোয় ছুটি দিই। ত্রিপুরা ও উত্তর প্রদেশ ডিএ দেয় না। দশ বছরে একবার সরকারি কর্মচারীদের শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, তাইল্যান্ড যাওয়ার সুযোগ দিয়েছি। আবাসন, রাস্তা, ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। মুসলিম ছেলেমেয়েদের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। টাকা আকাশ থেকে পড়বে না। ডিএ দিতে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর কী পেলে নন্দলালেরা খুশি হবে? ৯৯ শতাংশ ও ৬ শতাংশ মিলিয়ে আমরা ১০৫ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। আর টাকা নেই। আমার মাথা কেটে নিলেও আর দিতে পারব না। ডিএ দিতে আপত্তি নেই। টাকা থাকলে দেব। খালি চাই চাই আমার মুণ্ডু কেটে নিন।’