বাগবাজারে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে মানবিক মমতা! দিলেন আশ্বাস
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: গতকাল সন্ধ্যায় খবর পাওয়া মাত্রই কলকাতা পুরনিগমের প্রধান প্রশাসক তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে। সেই নির্দেশ মেনে এসেছিলেন পুরমন্ত্রী। দিয়েছিলেন আশ্বাস পাশে থাকার। সেই সঙ্গে সর্বহারা মানুষগুলিকে রাতে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেও দিয়েছিলেন। আর এদিন সকালে সেই সর্বহারা মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চলে এলেন তিনি, মানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়িয়ে সবাইকে বললেন, 'চিন্তার কোনও কারণ নেই, আমার উপর ভরসা রাখুন। সবটা আগের মতো করে দেব।' আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিক আশ্বাস পেয়ে এই সব কিছু হারানোর যন্ত্রণার মধ্যেও বাগবাজারে হাজার হাত বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মুখে ফুটলো হাসি।
বাগবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বুধবার রাতেই এলাকার প্রায় ৭০টি ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সব কিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়াতে হয় কয়েকশো মানুষকে। এদিন সেই সব ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের প্রথম কাজ ছিল আগুন নেভানো। এরপর আপনাদের নিরাপদ স্থানে রাখা। আমরা সেটা করতে পেরেছি। আজ এই জায়গাটা পরিষ্কার করা হবে। আপনারা কোনও চিন্তা করবেন না। কলকাতা পুরসভা আপনাদের এই জায়গা একেবারে আগের মতো করে দেবে। আপনাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। আপনারা একটা বিপদে পড়েছেন। আমরা সকলে আপনাদের পাশে আছি।' এরপর সেখানে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকা ফিরহাদ হাকিম ও শশী পাঁজাকে বলেন ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ৫ কেজি করে চাল, মেয়েদের জন্য কাপড়, ছেলেদের পোশাক, চাদর, কম্বল, শিশুদের জন্য দুধ-বিস্কুটের দ্রুত ব্যবস্থা করতে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, আপাতত স্থানীয় বাগবাজার উইমেন্স কলেজে ক্ষতিগ্রস্তদের রাখা হবে। গোটা বিষয়টি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব তিনি সঁপেছেন ফিরহাদ হাকিম ও শশী পাঁজার হাতে। যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে এই মানুষগুলোর দায়িত্ব সরকারের, সে আশ্বাসও এদিন দিয়ে গেলেন মমতা। একই সঙ্গে কীভাবে আগুন লাগল বাগবাজারের বস্তিতে তা জানতে তিনি যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সেটাও জানিয়ে দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই সেই তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। এদিনই ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেনসিক টিম। এদিন সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন শশী পাঁজা। তিনি বস্তাবাসীদের সঙ্গে বেশ কিছু কথাও বলেন। এসেছেন বস্তি দফতরের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবারও যানজটে নাকাল হতে হয়েছে শহরের বাসিন্দাদের। ক্ষীরোদ বিদ্যাবিনোদ অ্যাভিনিউয়ের একাংশ এখনও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। একটা লেন দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। পরিস্তিতি খতিয়ে দেখতে এসে পৌঁছেছেন ডিসি ট্রাফিক রূপেশ কুমার।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গাড়ির চাপ। এ দিকে বৃহস্পতিবার ভোরেও ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ছাইয়ের স্তূপের মধ্যে থেকে বস্তিবাসীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি খুঁজতেও দেখা গিয়েছে। আগুনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উদ্বোধন পত্রিকার কার্যালয়ও। পুড়ে গিয়েছে কার্যালয়ের বেশ কয়েকটি জানলা-দরজা। বুধবার আগুন নেভাতে গিয়ে কয়েকজন দমকল কর্মীও আহত হয়েছেন বলে খবর। রাতে ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তা খতিয়ে দেখতেই ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
বাগবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বুধবার রাতেই এলাকার প্রায় ৭০টি ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সব কিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়াতে হয় কয়েকশো মানুষকে। এদিন সেই সব ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের প্রথম কাজ ছিল আগুন নেভানো। এরপর আপনাদের নিরাপদ স্থানে রাখা। আমরা সেটা করতে পেরেছি। আজ এই জায়গাটা পরিষ্কার করা হবে। আপনারা কোনও চিন্তা করবেন না। কলকাতা পুরসভা আপনাদের এই জায়গা একেবারে আগের মতো করে দেবে। আপনাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। আপনারা একটা বিপদে পড়েছেন। আমরা সকলে আপনাদের পাশে আছি।' এরপর সেখানে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকা ফিরহাদ হাকিম ও শশী পাঁজাকে বলেন ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ৫ কেজি করে চাল, মেয়েদের জন্য কাপড়, ছেলেদের পোশাক, চাদর, কম্বল, শিশুদের জন্য দুধ-বিস্কুটের দ্রুত ব্যবস্থা করতে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, আপাতত স্থানীয় বাগবাজার উইমেন্স কলেজে ক্ষতিগ্রস্তদের রাখা হবে। গোটা বিষয়টি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব তিনি সঁপেছেন ফিরহাদ হাকিম ও শশী পাঁজার হাতে। যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে এই মানুষগুলোর দায়িত্ব সরকারের, সে আশ্বাসও এদিন দিয়ে গেলেন মমতা। একই সঙ্গে কীভাবে আগুন লাগল বাগবাজারের বস্তিতে তা জানতে তিনি যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সেটাও জানিয়ে দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই সেই তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। এদিনই ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেনসিক টিম। এদিন সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন শশী পাঁজা। তিনি বস্তাবাসীদের সঙ্গে বেশ কিছু কথাও বলেন। এসেছেন বস্তি দফতরের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবারও যানজটে নাকাল হতে হয়েছে শহরের বাসিন্দাদের। ক্ষীরোদ বিদ্যাবিনোদ অ্যাভিনিউয়ের একাংশ এখনও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। একটা লেন দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। পরিস্তিতি খতিয়ে দেখতে এসে পৌঁছেছেন ডিসি ট্রাফিক রূপেশ কুমার।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গাড়ির চাপ। এ দিকে বৃহস্পতিবার ভোরেও ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ছাইয়ের স্তূপের মধ্যে থেকে বস্তিবাসীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি খুঁজতেও দেখা গিয়েছে। আগুনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উদ্বোধন পত্রিকার কার্যালয়ও। পুড়ে গিয়েছে কার্যালয়ের বেশ কয়েকটি জানলা-দরজা। বুধবার আগুন নেভাতে গিয়ে কয়েকজন দমকল কর্মীও আহত হয়েছেন বলে খবর। রাতে ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তা খতিয়ে দেখতেই ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
More News:
20th January 2021
20th January 2021
20th January 2021
20th January 2021
20th January 2021
20th January 2021
20th January 2021
কালকা মেলের নতুন নাম 'নেতাজী এক্সপ্রেস'! আবিদকে মরণোত্তর সম্মান
19th January 2021
কাল রাজ্যে কমিশনের ফুল বেঞ্চ, মঙ্গল সন্ধ্যায় দিল্লি গেলেন আলাপন-দ্বিবেদী
19th January 2021
19th January 2021
উঠল পর্দার আড়াল, নাম করে সরাসরি অভিষেককে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর
Leave A Comment