নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২১-এর নির্বাচনে নখ দাঁত বার করেই তৃণমূল কংগ্রেসকে চেপে ধরেছিল বিজেপি। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আক্রমণ শানিয়েছিল গেরুয়া শিবির, এটা দাবি করে তৃণমূল। আর বুধবার চেতলার সভায় ভবানীপুরের নির্বাচনী প্রচারের গিয়ে নন্দীগ্রামের সেই দুর্ঘটনার কথা স্মরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘যে দিন মনোনয়ন জমা দিলাম পা-টা বারোটা বাজিয়ে দিল। এত বড় চোট লাগল, ডাক্তাররা বলেছিল আপনি বেরোতে পারবেন না। পুলিস কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। হুইলচেয়ার করে দেড়মাস ঘুরে বেরিয়েছি। মিটিং করেছি। আসল ছবি দেখালে কাঁতরে উঠবেন। গোড়ালিটা চেপে দিয়েছিল। ভাগ্য ভালো মারা যাইনি। নন্দীগ্রামে দরজাটা যেভাবে চেপে ধরেছিল গলাটা কাটা যেত। পা-টা ঠিক হয়নি কিন্তু জেদে চলি আমি। সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। নরেন্দ্র মোদিরা যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কতটা দানবিক পার্টি কল্পনা করতে পারবেন না।’
এরপরেই সিপিএমের অত্যাচারের কথা স্মরণ করে এদিন চেতলাতে আসন্ন উপনির্বাচন নিয়ে প্রচার করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে অনেক আন্দোলন করেছি। লকআপে মৃত্যু হত আগে। ২১ দিন আন্দোলন করেছিলাম। সব বইয়ে লিখেছি। ১০৫টা বই প্রকাশিত হয়েছে। জানবার জন্য বলছি। ১৯৯৩ সালে আমার ধর্নার পর তৈরি হয়েছিল মানবাধিকার কমিশন। লক আপে মৃত্যু হয়ে পরিবারের লোক ক্ষতিপূরণ পায় এখন। এটা আমার আন্দোলনের জন্য। সিঙ্গুর আন্দোলনের জন্য ১৬ দিন আমরণ অনশন করেছি। বাঁচার কথা ছিল না। আমার দু’টো অপারেশন হয়েছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘অনেকে জানেন না, হাজরায় মেরে ক্ষান্ত হয়নি। ৩০ বছর সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করেছি। মাথায় মেরেছে। অপারেশন হয়েছে আমার। গার্ডেনরিচে গুলি করে হত্যা করতে চেয়েছিল। একটি ছেলে হাত তুলেছিল বলে গুলিটা তাঁর হাত দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। আমার মাথাটা বাঁচে। আমার চোখ দুটো কাঁচ ঢুকে প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। একুশে জুলাই যখন মারল আমার শরীর থেকে দু’টো পার্ট বাদ হয়ে গিয়েছিল। আমি কখনও আপনাদের জানতে দিইনি। পরপর মার খেয়েছি।’