এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

WEB Ad_Valentine



৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়



নিজস্ব প্রতিনিধি: রবি সকাল থেকেই বাংলা সহ দেশের চোখ আটকে ছিল ভবানীপুরে। কেননা এদিনই হচ্ছে এই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের গণনা। আর সেই চোখ আটকে থাকার কারন অবশ্যই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন। সেই উপনির্বাচনের ভোটগণনা এদিন সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে শুরু হয়েছিল। গণনাকেন্দ্রে থেকে জানা গিয়েছিল, প্রথম রাউন্ডে পোস্ট্যাল ব্যালেটের গণনা শেষে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিকটতম বিজেপি প্রার্থীর থেকে ২৮০০ ভোটে যে এগিয়ে থাকার দৌড় শুরু করেন তা গিয়ে থামে ৫৮ হাজারের ঘরে।  তৃণমূল শিবিরেরও আশা ছিল সময় যত গড়াবে, ভোট গণনা যত শেষের দিকে এগোবে ততই বাড়বে বিরোধী পক্ষের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর জয়ের ব্যবধান। বাস্তবেও কার্যত সেটাই হতে দেখা গেল। গণনা শেষে বাংলার অগ্নিকন্যা জয়ী হলেন ৫৮ হাজার  ৮৩২ ভোটে। 

এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছিল ভোট গণনার কাজ। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে এদিন সকাল থেকেই সেই গণনার কাজ যতই এগিয়েছে ততই ঘাসফুল শিবিরে উন্মাদনা বেড়ে গিয়েছে। যত বেশি বেশি রাউন্ড গণনা এগিয়েছে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের থেকে প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ততই বাড়িয়ে গিয়েছেন বাংলার অগ্নিকন্যা। একসময় দেখা যায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় যে ২৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন সেই ব্যবধানকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কার্যত তখনই স্পষ্ট হ্যে যায় সত্যি হতে চলেছে ফিরহাদ হাকিমের দাবি। এদিন গণনা শুরু হতেই তৃণমূলের তরফে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম  জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন। কার্যত সেটাই হতে দেখা গেল এদিন। ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হলেন মমতা।  

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে পরাস্ত হন মমতা। যদিও সেই ফলাফল নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন আর বিতর্ক রয়েছে। এমনকি তা নিয়ে আদালতেও মামলা চলছে। সেই কারনেই বিধায়ক না হয়েই মমতা নিজে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু নিয়মানুসারে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে বিধায়ক হিসাবে জিতে আসতে হত কোনও না কোনও আসন থেকে। সেই কারনেই ভবানীপুর থেকে ইস্তফা দিয়ে উপনির্বাচনের পথ খুলে দিয়েছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই উপনির্বাচনেই এদিন মমতা জিতলেন ৫৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে। ২০১১ সালে এই কেন্দ্র থেকেই মমতা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ৫৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে। এবার সেই ব্যবধানও পিছনে পড়ে রইল। সামনে থাকলো নয়া রেকর্ড। একই সঙ্গে এদিনের এই ফলে মমতার হাতেই সুরক্ষিত থাকলো বাংলা। 



Published by:

Koushik Dey Sarkar

Share Link:

More Releted News:

পুরসভাতে হাতাহাতির ঘটনায় দুই কাউন্সিলর শোকজের জবাব দিলেন

সেরা পুজো বাছাইয়ের ভার দর্শকদের হাতে ছাড়ছে কলকাতা পুরসভা

দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন অভিষেক, রক্ষাকবচ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন না

কলেজ স্ট্রিটে বর্ণপরিচয় মার্কেট ও মেডিকেল কলেজে হানা

একই দিনে ডেঙ্গু প্রাণ কাড়ল মোট চারজনের

হাওড়ার মাছ বাজারে বাংলাদেশের ইলিশের বেচাকেনা শুরু

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর