নিজস্ব প্রতিনিধি: মূল লক্ষ্য বাংলার(Bengal)মানুষদের চিট ফাণ্ডের হাত থেকে বাঁচানো। তাই এরাজ্যে স্বল্প সঞ্চয়ে গতি আনতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। আর সেই কারণেই রাজ্যের ৪৯টি ব্লকে Small Savings Development Officer নিয়োগ করছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে কাজ অনেকটাই গুটিয়ে আনা হয়েছে। আধিকারিকদের শীঘ্রই কাজে যোগ দেওয়ার কথা। তবে প্রয়োজনের তুলনায় আধিকারিক সংখ্যা অনেকটাই কম, অভিযোগ স্বল্প সঞ্চয় এজেন্টদের।
আরও পড়ুন রাজ্যের নয়া সিদ্ধান্ত, Family Pension’র আবেদন নয় সরাসরি অর্থদফতরে
দেশে চালু থাকা স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের হাতে। স্কিমগুলি ব্যাঙ্কে লভ্য হলেও, ডাকঘরগুলিতেই সবচেয়ে জনপ্রিয়। একসময় প্রতিটি রাজ্যে প্রকল্পগুলি থেকে যে অঙ্কের টাকা জমা পড়ত, তা থেকে ঋণ নিতে পারত রাজ্যগুলি। তাই কেন্দ্রীয় স্কিম হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকারগুলি এর প্রচারে জোর দিত। কিন্তু রাজ্যগুলি এখন বাজার থেকেই ঋণ নিতে পারে। তাই প্রকল্পগুলি নিয়ে রাজ্যের উৎসাহে ভাটা লক্ষণীয়। স্কিমগুলি কেন্দ্রের হাতে থাকলেও, এজেন্ট নিয়োগ এবং তাঁদের এজেন্সি নবীকরণের দায়িত্ব রাজ্যেরই হাতে। তাই একসময় প্রতিটি ব্লকেই অফিসার নিয়োগ করত রাজ্য। জেলাতেও থাকত অফিস। এখন ৭০টিরও কম ব্লকে অফিসার আছেন। সেই সংখ্যা এবার কিছুটা বেড়ে ১৩০ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন ABVP’র ছাত্র-যুবদের রাজনীতির মন্ত্র দেবেন ‘জাত গোখরো’
রাজ্যের অর্থ দফতরের আধিকারিকদের দাবি, নতুন করে Small Savings Development Officer নিয়োগের ফলে স্বল্প সঞ্চয়ে গতি আসবে। এই নিয়োগের মূল লক্ষ্যি হল প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা—যাতে তাঁরা চিটফান্ডের খপ্পরে না পড়েন। তাই অভিনবত্ব আনা হচ্ছে প্রচারেও। লোকশিল্পীরা নাচ-গানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করছেন। তবে সবক’টি ব্লকে অফিসার নিয়োগ না-হওয়ায় ক্ষুব্ধ এজেন্টরা। West Bengal Small Savings Agents Association’র দাবি, রাজ্যের সবক’টি ব্লকে অফিসার নিয়োগের দাবি এক দশকের পুরনো। এবার তার কিছুটা পূরণ হল। অফিসাররা বিভিন্ন ডাকঘরে আসেন, তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন। ব্লকে অফিসার না-থাকলে যেকোনও প্রয়োজনে তাঁদের জেলা সদরে যেতে হয়। তবে তাঁদের পরিচয়পত্রের দাবি এখনও পূরণ করেনি সরকার। নেই সামাজিক সুরক্ষাও। তাঁদের আশা, এই দাবিগুলিও সরকার এবার বিবেচনা করবে।