এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলার নির্মাণ শ্রমিকদের বাড়ি গড়ে দেবে মমতার সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি: যারা আমাদের মাথার ওপর পাকা ছাদ গড়ে দেন তাঁদের নিজেদের মাথার ওপর পাকা ছাদ আছে কিনা তার খোঁজ আমরা কেউ রাখি না। কিন্তু সে খবর রাখেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বাংলার মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর এই ৩ জেলার গ্রামীণ এলাকার সিংহভাগ সংখ্যালঘু সমাজের যুবক ও পুরুষ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নির্মাণের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে। কেরল, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যে বছর ভর কাজ করেন তাঁরা। কার্যত গোটা দেশের যাবতীয় নির্মাণ কাজের সিংহভাগ কাজই করেন বাংলার এই নির্মাণ শ্রমিকেরা(Masons)। মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর জেলা ছাড়াও কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি জেলার মানুষেরাও বাংলা ও বাংলার বাইরে নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। কোভিড(Covid) ও লকডাউনে(Lockdown) এরাই সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এবার তাঁদের মাথার ওপর পাকা ছাদ গড়ে দিতে উদ্যোগী হল মমতার সরকার।

বাংলার নির্মাণ শ্রমিকেরা অনেকের মাথার ওপরে পাকা ছাদ গড়ে দিলেও তাঁদের অনেকেরই কিন্তু মাথার ওপর পাকা ছাদ নেই। অনেকের নিজের বাড়িও নেই। কেউ তাঁদের সেই বাড়ি গড়ে দেওয়ার কথা ভাবে না। কিন্তু এবার এই ছবির পরিবর্তন ঘটাতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত তাঁর নির্দেশেই এবার রাজ্যের নির্মাণ শ্রমিকদের মাথার ওপরে পাকা ছাদের বন্দোবস্ত করতে উদ্যোগী হল রাজ্যের শ্রমদফতর। আর সেটাও সম্পূর্ণ নিখরচায়। রাজ্য শ্রমদফতরের নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণ বোর্ড(Labour Development Board) এব্যাপারে সিদ্ধান্তও নিয়েছে। বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের বক্তব্য, এখনও চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হয়নি এই প্রকল্পের। তবে নানা প্রস্তাব বোর্ডের বিবেচনাধীন। জানা গিয়েছে, বোর্ডের কোষাগারে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। সরকারের কোষাগারের ওপর কোনও বাড়তি চাপ না আসার ফলে অর্থের সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। প্রথম দফায় অন্তত ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগনো হবে। পরে ফি বছর এই খাতে মোটা টাকা খরচ করারও প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হবে। প্রসঙ্গত, প্রায় ৪০ লাখ নির্মাণ শ্রমিক এখনও পর্যন্ত দফতরের চালু করা বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনার পোর্টালে নাম লিখিয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে সাড়ে ১৭ লক্ষের আধার সহ যাবতীয় নথি আপ-টু-ডেট করা রয়েছে। ফলে আবাসন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে এঁরাই অগ্রাধিকার পাবেন।

নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের সদ্য নিযুক্ত চেয়ারম্যান তথা আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘কন্যাশ্রী সহ একাধিক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করে দেশে পথিকৃৎ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। সমাজের আর সব মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরির কারিগর নির্মাণ শ্রমিকরা। কিন্তু তাঁদের অধিকাংশেরই নিজস্ব থাকার ঘর নেই। বিষয়টি ভাবিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁরই ইচ্ছায় আগামী দিনে বাসস্থানের সন্ধান পেতে চলেছেন বাংলার নির্মাণ শ্রমিকরা। দেশের মধ্যে প্রথম এই প্রকল্প চালু হতে চলেছে মূলত মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনার ফলশ্রুতিতে। শ্রমিক পিছু এই খাতে বোর্ড লাখ পাঁচেক টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারে। যে সব শ্রমিকের গ্রামে নিজস্ব জমি রয়েছে, তাঁদের বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেওয়া হবে। যাঁদের জমি নেই, তাঁদের জন্য গ্রামে সরকারি জমিতে বহুতল ফ্ল্যাট করা হতে পারে। প্রয়োজনে শহরেও এমন ফ্ল্যাট গড়ে দিতে পারে বোর্ড। তবে ঘর তৈরি বা পাওয়ার অন্যতম শর্ত হিসেবে পাঁচ বা দশ বছরের মধ্যে তা বিক্রি বা অন্য কাউকে ভাড়া না দেওয়ার অঙ্গীকার আদায় করে নেবে বোর্ড। অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে ‘আগে এস, আগে নাও’ নীতিতে টাকা বা ফ্ল্যাট বিতরণের পথেই হাঁটবে বোর্ড।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ক্রীড়া প্রেমীদের জন্য সুখবর, আইপিএলের দিন অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা পূর্ব রেলের

মেদিনীপুরে লাল ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় হলুদ সতর্কতা এবং ১১ জেলায় তাপপ্রবাহ জারি

‘কমিশনকে বলব বহরমপুরের ভোট যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়’, মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

রাজ্য খাদ্য দফতরের SI নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের, তদন্তভার CID-কে

নয়া সুড়ঙ্গ খনন শুরু East West Metro’র, ভয়ে সিঁটিয়ে এলাকাবাসী

হাইকোর্টের রায়ে চাকরিহারাদের ফেরাতে হবে ঠিক কত টাকা, দেখে নিন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর