নিজস্ব প্রতিনিধি: কর্ণাটকে(karnataka) ভোটের ফল নিয়ে সকলেরই আগ্রহ ছিল। শনিবার সকাল থেকেই সেই আগ্রহের পারদ চড়তে শুরু করে আরও বেশি করে। এরপর সময় যত গড়িয়েছে, কন্নড়ভূমের রায়ে ততই পরিষ্কার হয়েছে গদি হারাতে চলেছে বিজেপি(BJP)। বিকালের দিকে সেই রায়কে কার্যত মান্যতা দিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। সেখানে কার্যত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরেই সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস(INC)। কিন্তু এই জয়ের মধ্যেও দেখা গেল বাংলার জননেত্রী তথা অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কাছে ব্রাত্যই থেকে গেল সোনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধির(Rahul Gandhi) দল। শনি বিকালে সংবাদমাধ্যমের সামনে মমতা কর্ণাটকের জয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন বটে, কিন্তু একবারের জন্যও কংগ্রেসের নাম তিনি মুখেও আনলেন না। এমনকি শোনা গেল না রাহুল গান্ধির নামও। কর্ণাটকে জিতেও মমতার কাছে ব্রাত্যই থেকে গেল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন দুই বাংলাকে জুড়তে সমীক্ষা শুরু গীতালদহ-মোগলহাট রেলপথে
মমতা আগেই জানিয়েছিলেন কর্ণাটকের মানুষ যেন বিজেপিকে ভোট না দেন। তাই সকলের এদিন আগ্রহ ছিল কর্ণাটকের ফলাফল বার হওয়ার পর মমতা কী বার্তা দেন সেদিকে। দেখা গেল মমতা বার্তা দিলেন ঠিকই, কিন্তু সেই বার্তায় ছিঁটেফোঁটাও নেই কংগ্রেস। আগামী দিনে দেশ থেকে যে বিজেপি বিদায় নিতে চলেছে, মধ্যপ্রদেশ ছত্তিশগড়ে হারতে চলেছে, এদিন আরও একবার তা জোর গলায় দাবি করেছেন মমতা। এমনকি এটাও জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ সিং ভাল ফল করে দেখাবেন লোকসভা নির্বাচনে। কর্ণাটকে ৫ বছর আগেকার তুলনায় দেবগৌড়া-কুমারস্বামীর দল জনতা দল সেকুলারের আসন কমেছে। তারপরও এদিন মমতা কুমারস্বামীর নাম করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু একটি শব্দ খরচ করে তিনি কংগ্রেস বা রাহুল গান্ধিকে শুভেচ্ছা জানাননি। কার্যত মমতার এই অবস্থানে এটা পরিষ্কার হয়ে গেল আগামী দিনে মমতা বিজেপিকে পরাস্ত করতে আঞ্চলিক দলগুলির ফলাফলের ওপরেই বেশি জোর দিচ্ছেন। কংগ্রেসকে সেই তালিকায় তিনি রাখছেনই না।