এই মুহূর্তে

দলেই চোরাস্রোত, চিন্তা নিয়েই দিল্লির পথে মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি(BJP) বিরোধী শিবিরের তরফে সর্বসন্মতির ভিত্তিতে যাতে একজন প্রার্থীকেই দাঁড় করানো যায় তার জন্য দীর্ঘদিন আগে থেকেই জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই লক্ষ্যেই তিনি ১৫জুন দিল্লির(New Delhi) কনস্টিটিউশন ক্লাবে এক বৈঠকও ডেকেছেন। সেই বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবারই দিল্লির পথে পা বাড়াচ্ছেন মমতা। কিন্তু সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন এক রাশ চিন্তাও। সেই চিন্তা তাঁর দল তৃণমূলের(TMC) অন্দরের চোরাস্রোত। আর এই চিন্তার উৎপত্তি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে গিয়ে। সোমবার রাজ্য বিধানসভায়(State Legislative Assembly) পেশ হওয়া ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ল অ্যামেন্ডমেন্ট বিল, ২০২২’। সেই বিল পাশ হলেও বিলের সপক্ষে ও বিপক্ষে পড়া ভোট নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। প্রথমে ১৭জন বিজেপি বিধায়কের ভোট নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও পরে দেখা যায় তৃণমূলের বিধায়কদের ভোট বাতিল হওয়ায় ১৬৭-৫৫ ভোটে বিলটি পাশ হয়েছে।

রাজ্য বিধানসভার তরফে জানা গিয়েছে, গতকাল প্রথমবার বিল পাশ হওয়ার পরে জানানো হয়েছিল ১৮৩-৪০ ভোটে বিল পাশ হয়েছে। সেই সংখ্যা নিয়ে আপত্তি তোলে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, বিল পেশের সময় তাঁদের ৫৭জন বিধায়ক অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে ১৭টা ভোট কোথায় গেল? তা নিয়ে বিজেপির তরফে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নালিশ জানানো হয়। তার জেরেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ। সেই তদন্তেই দেখা যায় বিজেপির মাত্র ২জন বিধায়কের ভোট বাতিল হয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের ১৫জন বিধায়কের ভোট বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ বিলটি পাশ হয়েছে ১৬৭-৫৫ ভোটে। আর এখানেই প্রকাশ্য চলে এসেছে তৃণমূলের অন্দরে থাকা চোরাস্রোত। প্রশ্ন উঠেছে, তালে কী দলের বিধায়কেরাই মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে মেনে নিতে পারছেন না। তাই ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজেদের ভোট বাতিল করেছেন! যদিও গোট বিষয়টি বিধানসভার অধ্যক্ষ তদন্ত করে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। কেন তৃণমূল ও বিজেপির মোট ১৭জন বিধায়কের ভোট বাতিল হল সেটাই খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 

আর এই ঘটনার পরে পরেই এদিন দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। সন্দেহ নেই বিধানভার ঘটনা তাঁকে কিছুটা হলেও উদ্বেগে রাখবে। কেননা এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোনও দলই তাঁদের দলীয় সাংসদ ও বিধায়কদের ওপরে কোনও রকমের হুইপ জারি করতে পারবে না। আর এখানেই কপালে চিন্তার ভাঁজ তৃণমূল নেতৃত্বের। সূত্রে জানা গিয়েছে ঘর শত্রু বিভীষণদের খুঁজে বের করতে দলের অন্দরে পৃথক একটি তদন্ত শুরু করা হবে। কেন ১৫জন বিধায়কের ভোট বাতিল হবে সেটা যেমন দেখা হবে তেমনি এটাও দেখা হবে দলের আরও ৩৬জন বিধায়ক কেন সোমবার বিধানসভা ভবনে উপস্থিত ছিলেন না। কেন ২১০’র বেশি বিধায়ক থাকা তৃণমূল পরিচালিত সরকারের বিল মাত্র ১৬৭ ভোটে পাশ হবে সেটা নিয়েও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব চিন্তিত বলেই জানা গিয়েছে। কেননা তাঁদের এখন চিন্তা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের বিধায়কদের ক্রশ ভোটিংয়ের সম্ভাবনা নিয়ে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য ছুটি পাবেন তো অফিস থেকে, জারি হয়ে গেল বিজ্ঞপ্তি

সিপিএমের হয়ে প্রচার নয়, কংগ্রেস নেতার নির্দেশ ঘিরে শোরগোল

২৪’র ভোটে বাংলায় স্পেশাল পুলিশ অবজার্ভার বিজেপি ঘনিষ্ঠ অনিল কুমার শর্মা

ইডি-র ওপর হামলার তদন্তে সন্দেশখালির দুই বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

শেষ হয়ে গেল রাজ্য সরকারের অর্থবর্ষ, সমস্যায় বেশ কিছু দফতর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর