নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের(West Bengal State Government Employees) DA আন্দোলন যখন ক্রমশ বাড়ছে ঠিক তখনই তাঁদের জন্য বড়সড় সুবিধার কথা ঘোষণা করে দিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। এবার থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীরা স্বাস্থ্য প্রকল্পে বেসরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করিয়ে খরচের বিল(Health Project Bill) আরও সহজে পেশ করতে পারবেন। নবান্ন(Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের অর্থদফতর এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এবার থেকে প্রায় ৯ ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসার খরচের বিল পেশ করার সময় ঠিক কী কী নথি পেশ করতে হবে। এই রোগগুলির মধ্যে ক্যান্সার, হেপাটাইটিস সহ লিভারের অসুখ, হার্টের রোগ, কিডনি ফেলিওর প্রভৃতি রয়েছে। এখন স্বাস্থ্য প্রকল্পের খরচের বিল অনলাইনে পেশ করতে হয় সরকারি কর্মী ও পেনশন প্রাপকদের। সেখানে কোন কোন নথি জুড়ে দিতে হবে বিজ্ঞপ্তিতে সেটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন Police Custody-তে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় অভিযুক্ত জিতেন্দ্র
রাজ্যের অর্থদফতরের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোরে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার বিল পেশ করার পর তা দীর্ঘ সময় আটকে থাকছে। এর জেরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কর্মচাঋদের ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছিল। কর্মচারিদের একাংশের ধারনা হয়েছিল তাঁদের হেনস্থা করতে রাজ্য সরকার এই ধরনের আচরণ করছে। যদিও বাস্তব তা নয়। বিলের Clearence না হওয়ার পিছনে বিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি জমা না দেওয়ার ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে। কোন রোগের চিকিৎসার বিলে কী কী নথি পেশ করতে হবে, এবার তা জানিয়ে দেওয়ার ফলে এই সমস্যা দূর হবে বলে রাজ্য সরকার আশা করছে।
আরও পড়ুন মদ খেলেই দিতে হবে Cow-Cess, লাগু হিমাচলে
রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের দরুন রাজ্য সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের প্রবীণ নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এতে স্বাস্থ্য প্রকল্পে নথিভুক্তদের চিকিৎসা খরচের টাকা দ্রুত পেতে সুবিধা হবে। জটিল রোগের চিকিৎসায় প্রচুর খরচ হয়। তাই তাড়াতাড়ি টাকা পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ যদিও DA আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা জানিয়েছেন, ‘এই বিল Clearence’র ঘটনা কোনও পদক্ষেপই নয়। এই ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে না যে রাজ্য সরকার আমাদের দয়া করছে। এটা আমাদের হক পাওনা। রাজ্য সরকার আমাদের আন্দোলনে ভয় পেয়েছে সেটা অবশ্য বেশ বোঝা যাচ্ছে। তাই এতদিন ধরে যে বিল ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছিল সেগুলোই এখন দ্রুত ছাড়া হচ্ছে। এর বেশি কিছুই না।’