এই মুহূর্তে




আরজি করে তাণ্ডবের দায় রাম-বামের ঘাড়ে চাপালেন মমতা

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বাধীনতা দিবসে(Independence Day) রাজভবনে রাজ্যপালের ডাকা চা-চক্রে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়ালকে আমন্ত্রিত না করার জন্য সেই চা-চক্রে যোগ না দিয়েই বেড়িয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। রাজভবনের বাইরে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মখ্যমন্ত্রী। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আর জি কর হাসপাতালে(R G Kar Incident) গতকাল রাতের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। জানিয়ে দেন, যারা ভাঙচুর চালিয়ে তাঁরা ছাত্রছাত্রী নয়। তাঁরা বহিরাগত। রাম-বামের(Left and BJP) প্ররোচনায় এবং ষড়যন্ত্রে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ যেভাবে গতকাল আক্রান্ত হয়েও খুব ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে তার জন্য পুলিশের প্রশংসাও করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন, দলের পদ খোয়া যেতেই বিপ্লবী শান্তনু চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে

এদিন মমতা গতকালের আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, ‘এটা ছাত্রছাত্রীদের কাজ নয়। ওদের ওপর কোনও রাগ নেই, আমাদের সমর্থন আছে ওদের আন্দোলনে। কিন্তু আমাদের খারাপ লাগছে যে আন্দোলনের নামে হাসপাতালে হামলা চালানো হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে। কত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে সেটার থেকেও বেশি দামী, কত মানুষ অসুবিধার মুখে পড়েছে। আমি তো খবর পেলাম যারা ওই হাসপাতালে ছিল তাঁরাও এখন রোগীকে নিয়ে চলে যেতে চাইছে। কিছু রাজনৈতিক দল, সবাই নয়, দুটি দল রাম আর বাম, এই অশান্তির সৃষ্টি করছে। রাম এবং বামেদের কাজ এটা। এই ঘটনায় আমাদের ডিসি অত্যন্ত জখম হয়েছে। ওর অনেকক্ষণ জ্ঞান ছিল না। প্রচুর রক্তও বেরিয়েছে। আপনারা ভালো করে ভিডিওগুলো দেখুন। এখন তো AI দিয়ে নানারকম মুখ বসিয়ে ভিডিও বানানো হয়। সোশাল মিডিয়ায় প্রচুর ভুয়ো ভিডিও ছড়াচ্ছে। সেসবে বিশ্বাস করবেন না।’

আরও পড়ুন, শুক্রে হবে না কোনও বাংলা বনধ, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল নবান্ন

এর পাশাপাশি মমতা জানান, ‘আমি গতকালের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছি। মূল ঘটনারও তীব্র নিন্দা করেছি। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আমি নিজেও কাল মিছিল করব। প্রতিবাদ হবে। ফাঁসির দাবি জানাব। ছাত্রছাত্রীদের প্রতি কোনও রাগ নেই। রাজনৈতিক দলগুলো ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। কিন্তু এই কর্মবিরতি আর কতদিন ধরে চলবে বলুন তো? কর্মবিরতির জেরে অনেক জন মারা গেছে। অনেক পেশেন্ট মারা গেছে। আমি খবর পাচ্ছি অনেকে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে চাইছেন। কারণ তাঁরা এখানে ভরসা করতে পারছেন না। কোনও বাড়ির লোক যদি বলেন যে তিনি ভরসা করতে পারছেন না তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই। প্রচুর গরিব মানুষ সাফার করছে হাসপাতালের কারণে। আর চিকিৎসকরা তো শপথ নেন। পুলিশও যেমন শপথ নেয় ছুটি না নেওয়ার। সেজন্য যে কোনওদিন তাদের ডিউটি করতে হয়। চিকিৎসকরাও কাউকে চিকিৎসা করতে বদ্ধপরিকর। এখন যা অবস্থা তাতে জেলার হাসপাতালগুলোকে আর আরজি করে রোগী রেফার না করার অনুরোধ করব। পেশেন্ট যেখানে আছে সেই জেলায় পাঠানো হবে। কোনও কোনও জুনিয়র ডাক্তার এর মধ্যেও ট্রিটমেন্ট করছেন। সেজন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি। এখন তো তদন্ত দেখছে সিবিআই। আমি তো ছাত্রদের সব দাবি মেনে নিয়েছি। সিবিআই-এর কাছে আপনারা যান। আপনারা বলুন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজপথে জনতার আন্দোলনের ঢেউয়ে জৌলুশ হারিয়েছে রবিবারের পুজোর মার্কেট

আরজি কর কাণ্ডে মহানগরীর পথে ‘ইনসাফ’ চেয়ে রিক্সা চালকদের প্রতিবাদ মিছিল

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে আমজনতার সাহায্য চাইল সিবিআই

বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপের জেরে বঙ্গে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ

‘এই ধরনের মানুষদের মনোনয়ন দেওয়াই ঠিক নয়’, জহরকে নিশানা সৌগতের

‘একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন,’ নাম না করেই জহর-সুখেন্দুকে নিশানা দেবাংশুর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর