নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য কেন্দ্র সরকার যে ‘অগ্নিপথ’(Agnipath) প্রকল্প চালু করছে তা নিয়ে এবার বাংলার বিধানসভায়(State Assembly) মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এতদিন তিনি এই প্রকল্প নিয়ে একটিও শব্দ খরচ করেননি প্রকাশ্যে বা নেটমাধ্যমে। আর এদিন মুখ খুলেই তিনি নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে। এদিন রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অগ্নিপথ আসলে বিজেপির ক্যাডার তৈরির প্রকল্প। এরাই ভোট লুট করতে সাহায্য করবে। পার্টি অফিসে পাহারা দেবে। বিজেপি(BJP) আসলে গুন্ডা তৈরি করতেই চার বছরের এই ললিপপ(Lolipup) দিয়েছে। কেন্দ্র তরুণদের স্থায়ী চাকরি দিলে আলাদা কথা। কিন্তু অগ্নিপথ আসলে চার বছরের ললিপপ। চার বছর পর তো এদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রের অনুমোদন থাকবে। তার পর এরা কী করবে? বিজেপি কি তা হলে গুন্ডা বানাচ্ছে! কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি আসলে তাদের নিজেদের ক্যাডার তৈরি করতে চাইছে। এরাই বিজেপির ভোট লুট করবে। পার্টি অফিস পাহারা দেবে।’
বস্তুত ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ চলছে। রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলি প্রকাশ্যে এই নিয়ে কোনও আন্দোলন শুরু না করলেও দেশের যে সব যুবকেরা এই আন্দোলন শুরু করেছে তাকে শান্তিপূর্ণ পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহ দিয়েছে। তবে কংগ্রেস এই ইস্যুতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে। রবিবার থেকে দিল্লির যন্তর মন্তরে ‘অগ্নিপথ’র বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ শুরু করেছে কংগ্রেস। এমনকি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সনিয়া গাঁধী অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকেই আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানিয়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটে সবাই মুখিয়ে ছিলেন মমতা কখন কোথায় এই প্রকল্প নিয়ে মুখ খোলেন। দেখা গেল তিনি সরব হলেন রাজ্য বিধানসভায়। এর আগে রাজ্যে ভোট চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। এবার তিনি সরব হলেন ‘অগ্নিপথ’ নিয়েও। ঘটনাচক্রে এদিন ত্রিপুরার আগরতলায় এক সাংবাদিক বৈঠকেও অগ্নিপথ নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি সরব হয়েছেন ‘অগ্নিবীর’দের নিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়’র মন্তব্যের বিরুদ্ধে। সাফ জানিয়েছেন, ‘অগ্নিবীর নিয়ে বিজেপি নেতা যে মন্তব্য করেছেন অর্থাৎ বিজেপির অফিসে নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রসঙ্গটি সেটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। তৃণমূলের কোনও নেতা এমন মন্তব্য করলে তাঁকে বহিষ্কার করা হত।’