নিজস্ব প্রতিনিধি: ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিরাট জয় শুধু নন্দীগ্রামের হারের বদলাই নয়, বরং দিল্লির পথ আরও প্রশস্ত্ব করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা আঁচ করেই রবিবারই একের পর এক বিজেপি বিরোধী দলগুলির শীর্ষনেতৃত্ব শুভেচ্ছা জানান তৃণমূল নেত্রীকে। উত্তরপ্রদেশের অখিলেশ যাদব থেকে শুরু করে তামিলনাড়ুর এম কে স্ট্যালিন— সকলেই মমতার এই জয়ে উচ্ছ্বসিত। শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে আপ্লুত বাংলার নেত্রী। এদিন তাঁদের ধন্যবাদ জানালেন তিনি।
টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন সপা নেতা অখিলেশ যাদব। তিনি লিখেছিলেন, ‘মমতাদির জয়ই সত্যের জয়।’ এদিন তার প্রত্যুত্তরে তৃণমূল নেত্রী ট্যুইটে লেখেন, ‘আপনার এই শব্দবন্ধের জন্য অনেক ধন্যবাদ অখিলেশজি’। মমতাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার ট্যুইটে লিখেছিলেন, ‘ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়লাভের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আন্তরিক অভিনন্দন।’ তার প্রত্যুত্তরে এদিন মমতা লেখেন, ‘ধন্যবাদ শরদজি, দেশের মানুষের কল্যাণে আমরা একসঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’ শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন। তিনি ট্যুইটে লিখেছিলেন, ‘ভবানীপুর উপ-নির্বাচনে মমতার জয়ের জন্য শুভেচ্ছা। এই বিপুল ভোটই জানিয়ে দিচ্ছে মানুষের মতামত আপনার দিকেই রয়েছে।’ তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে এদিন মমতা লেখেন, ‘আন্তরিকভাবে আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি ভবানীপুর ও বাংলার প্রতিটি মানুষের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।’
রবিবারই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন। ট্যুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘দুর্দান্ত জয়ের জন্য দিদিকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। এই জয় আসলে মানুষের গণতন্ত্র রক্ষার চেষ্টা ও সংকল্প।’ তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে এদিন মমতা লেখেন, ‘আপনার এই মন্তব্য গণতন্ত্র রক্ষার্থে আরও লড়াই করার শক্তি জোগাবে আমাকে।’ টুইটে বাংলারশুভেচ্ছা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি আজাদ। তিনি লিখেছেন, ‘মমতা দিদি একজন বিচক্ষণ নেত্রী। সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করেন তিনি। ভবানীপুর উপনির্বাচনের জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।’ একইসঙ্গে ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝিও মমতাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইটে লিখেছিলেন, ‘জয়ের শুভেচ্ছা দিদিকে। তিনি শুধু নিজের জায়গাতেই ফিরে আসেননি, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির ওপরও ভরসা রেখেছেন।’ তাঁদেরও ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘আমরা সর্বদা সংবিধান রক্ষার স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করব।’