নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘ভবানীপুরে আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন, এবারেও জিতবেন।’ কোনও তৃণমূল নেতৃত্ব নয়, বরং প্রদেশে কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরীর গলাতেই শোনা গেল মমতার জয়গান। তাও আবার উপনির্বাচনের ভোটপর্ব মেটার আগেই দাবি করলেন তিনি। তবে অনেক আগে থেকেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন। আর সেকারণেই হয়তো উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী দিচ্ছে না বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে দল প্রার্থী দেবে না বলে অনেক আগেই জানিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। যা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে তখন অধীর চৌধুরী দাবি করেছিলেন, প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তবে এদিন ভোটচলাকালীন তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গেল, ঠিক কেন কংগ্রেস ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি। এদিন অধীর বলেন, ‘ভবানীপুরে উচ্চমধ্যবিত্ত পাড়া রয়েছে। যাদের সমর্থন মমতার পক্ষেই ছিল, এখনও আছে। যেই অংশগুলিতে মনে করা হয় ভোট তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাবে সেখানকার ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়। তবে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও জিতেছেন, এবারেও জিতবেন। ভোট কম পড়ুক বা বেশি। ভোটদানের হার বেশি হলে বার্তা যেত বেশি সংখ্যক মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটদান করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী করেছেন। যদি উপনির্বাচনের শেষ পর্যন্ত বেশি শতাংশ ভোট পড়ে, তাহলে ধরে নেওয়া যেতে পারে মমতাই জিতছেন। ভোটের হার কম হলে এমনটা জোর দিয়ে বলা যাবে না।’
ভবানীপুরের ফলাফল নিয়ে তৃণমূলের পক্ষে বললেও সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর নিয়ে অবশ্য আশাবাদী বহরমপুরের সাংসদ। অধীরের দাবি, ‘সামসেরগঞ্জের ভাষাই, পাইকর ,দোগাছি এই এলাকাগুলিতে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ঝাড়খণ্ড থেকে লোক নিয়ে এসে ভোট করানো হচ্ছিল। তবে কংগ্রেসের কর্মীরা তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। ময়দানে নেমে অন্যায়ের প্রতিবাদ করছেন তাঁরা।’ নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।