এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

অত্যধিক বিপজ্জনক, ১০০ বাড়ির বাসিন্দাদের ছাড়তেই হচ্ছে বাসস্থান

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতি বর্ষাতেই বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ায় মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে বাসিন্দা ও স্থানীয় মানুষ ও পথচারীদের। পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তাই তৎপর হল প্রশাসন। জানা গিয়েছে বিপজ্জনক বাড়ি গুলিতে যাবেন কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে যাবেন স্থানীয় থানার আধিকারিকগণ। বোঝানো হবে বিপজ্জনক বাড়িতে থাকার পরিণাম কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। বলা হবে সংস্কারের জন্য। গত বুধবার এই বিষয়েই বৈঠক করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার (Police Commissioner)  বিনীত গোয়েল ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার ও বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা। অত্যধিক বিপজ্জনক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই দীর্ঘ বৈঠকেই।

বৈঠকে ঠিক হয়েছে অতি বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের দুর্ঘটনা এড়াতে সরাতেই হবে। সেই সঙ্গে এও ঠিক হয়, তল্লাটে কোথাও জলাশয় ভরাট হচ্ছে কি না, তা দেখবে পুলিশ। বৈঠকে মেয়র (Mayor)  বলেন, কোথাও জলাশয় ভরাট হলে স্থানীয় আধিকারিকদের নামে এফআইআর করা হবে পুরসভার পক্ষ থেকে। মেয়র ও সিপির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বেআইনি নির্মাণেও নজর রাখবেন বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা। তারপর পাঠানো হবে নোটিশ। এরপরেও কাজ বন্ধ না হলে, দায়ের করা হবে এফআইআর। তারপর থানার পদক্ষেপকেই মান্যতা দেবে পুরসভা। জানা গিয়েছে, বেআইনি নির্মাণ বন্ধ না করতে পারলে স্থানীয় থানার অফিসার এবং বিল্ডিং বিভাগের অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুরসভা। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে এই নিয়ে শীঘ্রই গঠিত হবে একটি দল। জানানো হয়েছে ওই দল, পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করবে ও বেআইনি নির্মাণ রুখতে তৎপর থাকবে।

জানা গিয়েছে, মহানগরে বিপজ্জনক বাড়ির সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে এমন বাড়ি প্রায় ১০০ টি। এই বর্ষার আগেই সরানো হবে ওই ১০০ বাড়ির বাসিন্দাদের। ওই সব বাড়ির ভাড়াটেদের থাকা তবে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। এই প্রসঙ্গে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাড়ির মালিক বাড়ির সংস্কার করলে ভাড়াটেদের থাকার ব্যবস্থা মালিককেই করতে হবে। আর বাড়ির মালিক তা না করলে, পুরসভার পক্ষ থেকে ভাড়াটেদের রাখা হবে কমিউনিটি হলে।

উল্লেখ্য, একবার বাড়ি থেকে বের হলে আর ফেরা যাবে না, এই ভয় থেকেই বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দারা বাড়ি ছাড়তে চান না। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই ভয়ের কারণ নেই। কারণ, এ বার ওই সব্ বাড়ির মালিকদের শংসাপত্র দেওয়া হবে। তাতে লেখা থাকবে, ভবিষ্যতে বাড়িটি যিনিই সংস্কার করবেন  সেখানকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে নো অবজেকশন (এনওসি)সার্টিফিকেট নিতে হবে। বাসিন্দারা যাতে বঞ্চিত না হন, সে কথাও লেখা থাকবে। এরপরেই বাড়ি সংস্কারের অনুমোদন দেবে পুরসভা। সব মিলিয়ে পুরসভা নাগরিকদের জীবন ও সুবিধায় তৎপর।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ৫ দিন তাপপ্রবাহ চলবে

‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট আদালতে জমা ইডির

নিউটাউনে পরিত্যক্ত বহুতল থেকে উদ্ধার যুবকের নিথর মৃতদেহ

ভোট পেতে কুণাল ঘোষকে ফোন কংগ্রেস প্রার্থী  প্রদীপ ভট্টাচার্যের

২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি

আচমকাই জেগে উঠল গুরু প্রেম, প্রয়াত অজিত পাঁজার বাড়িতে হাজির ‘দলবদলু’ তাপস

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর