নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ভাতৃ দ্বিতীয়া, বছর জুড়ে অপেক্ষা করেন এই দিনটির জন্য বোনেরা। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু তার নিজের বাড়িতে মা ভবতারিণী মন্দিরের সামনে বোনদের হাতে ফোঁটা নিলেন। অন্যদিকে, রাজ্যের অপর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Minister Arup Biswas)বাঁশদ্রোনীর নবনীড় বৃদ্ধাশ্রমে হাজির হয়ে ভাই ফোঁটা নেন ঠাকুমা, দিদিমা সহ টালিগঞ্জের কলা কুশলীদের কাছ থেকে।ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা যমের দুয়ার পরলো কাটা, এই মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে অনেকটা আবেগ প্রবন হয়ে গেলেন দমকল মন্ত্রী নিজে। বারবার উঠে আসছিল ওনার মায়ের কথা এবং ছোট বেলার স্মৃতিগুলো।
তিনি বলেন মা সবদিকে পারদর্শী ছিলেন। এই ভাইফোঁটার সময় মা নিজের হাতেই সমস্ত মিষ্টি বানাতেন । বাইরে থেকে কোন মিষ্টি বাড়িতে আসতো না। কিন্তু মা আর নেই তাই চোখের কোনে জল দেখা গেল মন্ত্রীর। বাড়িতে ভাইফোঁটা ।দাদার বাড়ীর পাশে থাকেন এক বোন মাঝে মধ্যেই ফোন আসতে থাকে। কখন ভাই আসবে ।তাই বাড়ির ভাইফোঁটাতে সোজা চলে যান বোনের বাড়িতে। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সারেন। অপরদিকে বোনদের বাড়িতে নিয়ে আসা রান্না করা খাবারগুলো রাতে খান। তবে তিনি জানান, মিষ্টি থেকে নারকলের গুড়ের নাড়ু তিনি খুবই পছন্দ করেন এবং বোনরা নাড়ু খাইয়ে মিষ্টিমুখ করান ভাইকে। তবে আজকে সারাদিন অন্যান্য দিনের থেকে একটু আলাদা ।আজ সেভাবে কোন কিছু কাজ রাখছেন না ।দুপুরে বিশ্বকাপের ভারত ও নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনাল খেলা দেখবেন। সর্বশেষ তিনি যেমন গান শুনতে ভালোবাসেন তেমনি মা ভবতারিনীর সামনেই একটি শ্যামা সংগীত গেয়ে শোনালেন দিদিদের।
এদিকে বুধবার টালিগঞ্জ(Tollyganj) নবনীড় বৃদ্ধাশ্রমের (টালিগঞ্জের বাঁশদ্রোনী বাজারের পিছনে) ১০০ জন দিদাদের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিলেন মাননীয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট অভিনেত্রী জুন মালিয়া, নুসরাত জাহান(Nusrat Jahan) সহ অন্যান্যরা। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান এইরকম দিনগুলি খুব কমই আসে। বুধবার প্রথম মন্ত্রী ফোটা নিয়েছেন কালীঘাটে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(CM Mamata Banerjee) কাছ থেকে। তারপর নিজের দিদি বোনেদের কাছ থেকে ফোটা নেওয়ার পর হাজির হন নবনীড় বৃদ্ধাশ্রমে। এখানে তিনি সারাদিন আজ দিদিমা ও ঠাকুমাদের মাঝে থাকবেন। এখানে তাকে দাদু, ঠাকুমাদের পাশাপাশি টালিগঞ্জের কলাকুশলীরা ভাইফোঁটা দেয়। তিনি নিজে বৃদ্ধাশ্রমের বিরুদ্ধে কিন্তু ছোটবেলায় আকাশের তারা হয়ে হারিয়ে যাওয়া ঠাকুমা দিদিমাদের তিনি এই বৃদ্ধাশ্রমে খুঁজে পান। অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত।