নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার আহিরীটোলায় এক পুরোনো জরাজীর্ণ বাড়ি ভেঙে পড়ল। দ্রুতই উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছিল দমকল, পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে ঘটনাস্থলে চলে আসে এনডিআরএফ জওয়ানরাও। ধ্বংসস্তুপ থেকে একে একে উদ্ধার করা হয়েছিল ৯ জনকে। এদের মধ্য়ে এক দুবছরের শিশু এবং বৃদ্ধার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। পরে ওই দুজনই মারা গিয়েছে। তাঁরা সম্পর্কে ঠাকুরমা এবং নাতনি। মৃত শিশু কন্যার বয়স তিন বছর এবং তাঁর ঠাকুরমার বয়স ৫২ বছর।
বুধবার সকালে বাড়িটি ভেঙে পড়লেও বহুক্ষণ পর্যন্ত ওই শিশু ও বৃদ্ধাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে পুলিশ, দমকল ও এনডিআরএফ দল গ্য়াস কাটারের সাহায্য়ে কিছুটা কংক্রিট কেটে উদ্ধার করা হয়েছিল ওই তিনবছরের শিশুকন্য়া ও তাঁর ঠাকুমাকে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে বেলা ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। অপরদিকে আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। জানা যাচ্ছে, এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন একই পরিবারের আরও ৩ জন।
এই ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি ঘটনাস্থলেই জানিয়ে দেন, পুরসভার সতর্কতা আগে শুনলে আহিরীটোলায় এমন ঘটনা ঘটতই না। তাঁর দাবি, ভেঙে পড়া বাড়িটিকে আগেই বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করেছিল কলকাতা পুরসভা। এ ব্যাপারে নোটিসও দেওয়া হয়েছিল। পুরসভার কর্মীরা বারবার বাসিন্দাদের বলেছেন। তবে তাঁরা উঠতে চাননি। তিনি আরও জানিয়েছেন, এবার পুরসভাই ভেঙে পড়া বাড়ির বাকি বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলবে।