এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘গোখরো’ এল কলকাতায়, যাবে বিজেপির অফিসে

নিজস্ব প্রতিনিধি: একটা সময় ছিল যখন তাঁকে নিয়ে গর্ব করত আমবাঙালি। তাঁকে অনুসরন করে অনেকেই নিজেদের পরিচিয় দিত, ‘আই অ্যাম আ ডিস্কো ড্যান্সার’। এখন আর কেউ ভুলেও সেই কাজটি করেন না। কেননা তাঁদের মনে ভয় ঢুকেছে, লোকে যদি তাঁদের সাপ ভেবে পিটিয়ে মারে তখন কে বাঁচাবে। তাই কিবা মোবাইলে, কিবা টিভিতে, কিবা লেখালেখিতে কোথাও আর ধরা পড়েন না বাংলার ‘ডিস্কো ড্যান্সার’। তবে গেরুয়া শিবিরে এহেন ‘ডিস্কোবয়’কে নিয়ে এখনও বেশ টানাটানি চলে। যদি তিনি ‘ছোবল’ দিয়ে বঙ্গ বিজেপির শত্রুদের নিধন করতে পারেন। কেননা ‘ডিস্কোবয়’ নিজেই বলেছেন বেশ বড় মুখ করে ‘আমি জাত গোখরো’। সেই ‘গোখরো’ সাত সকালেই হাজির কলকাতার(Kolkata) বুকে। যাবেন বঙ্গ বিজেপির(BJP) অফিসে। হয়ত ঢেলে আসবেন বিষ যা পান করে বঙ্গ বিজেপির ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীরা আবারও হইহই করে উঠে মাঠে নেমে পড়ে হাঁক পাড়বেন, ‘আব কে বার ৩০০ পার’। ভয় একটাই ‘৩০০’ বলে শেষে ‘৩’-এ এসে না ঠেকে।

একটা সময় নিজেই বেশ গর্ব করে বলতেন, তিনি নকশাল করতেন। পরবর্তীকালে হয়েছিলেন বামপন্থী। রাজ্যের বিশিষ্ট বাম জননেতা সুভাষ চক্রবর্তীর(Subhash Chakrabarty) সঙ্গে তাঁর খুব ঘনিষ্ঠতাও ছিল। ঘনিষ্ঠতা ছিল রাজ্যের আরেক বাম নেতা অশোক চক্রবর্তীর সঙ্গেও। তবে সুভাষবাবুকেই নিজের ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলে মানেন তিনি। অনেকেই দাবি করেন, সেই গুরু কিন্তু তাঁকে বলে গিয়েছিলেন রাজনীতির মাঠে পা না রাখতে। কিন্তু গুরুবচন না মেনে ‘ডিস্কোবয়’ পা রাখেন রাজনীতির মাঠে। প্রথমে তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য। তারপর বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বানের প্রাক্কালে খাস কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় হাজির হয়ে মঞ্চে উঠে হাতে তুলে নেন পদ্ম পতাকা। আর সেই সঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমি জানি আপনারা সকলে চাইছেন আমার মুখে, মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে ডায়লগ শোনার জন্যে। তবে আমি যখন ক্যাম্পেইন করব আপনারা এই কথাটা মনে রাখবেন। এত বড় বড় লিডাররা এখানে রয়েছেন। তাঁদের সকলের কথা মিলিয়ে আমি একটাই কথা বলবো, আপনারা মনে রাখবেন, আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি। আমি মিঠুন চক্রবর্তী(Mithun Chakrabarty)। আমি যা বলি, আমি তাই করি!’ সেও মিঠুন ‘গোখরো’ সাত সকালে পা রেখেছেন কলকাতায়।

সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান মিঠুন। এদিন বিকালের দিকেই তাঁর বঙ্গ বিজেপির পার্টি অফিসে যাওয়ার কথা আছে। সেখানে একটি বৈঠকে যোগও দিতে পারেন তিনি। সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মিঠুনকে কাজে লাগাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। বিশেষ করে দলের কর্মীরা যেভাবে হতদ্যোম হয়ে বসে যাচ্ছেন সেই জায়গা থেকে তাঁদের বের করে আনার জন্যই তাঁরা মিঠুনকে গ্রাম বাংলায় দলের হয়ে প্রচারের কাজে ব্যবহার করতে চাইছেন। যদিও মিঠুনের নিজের শরীর খুব একটা ভাল নেই। তাই বঙ্গ বিজেপির নেতারা তাঁকে প্রচারের জন্য মাঠেঘাটে চাইলেও ঠিক কতটা তাঁকে পাওয়া যাবে তা নিয়ে খটকা আছে। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২৬ হাজার চাকরিহারা পাবেন এপ্রিল মাসের বেতন, জানাল শিক্ষা দফতর

৫,২৪৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা চেয়ে পাঠালো CBI

১৯ লক্ষ মানুষের মাথায় পাকা ছাদ, ‘গৃহশ্রী’ পোর্টাল আনছে রাজ্য

কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ৫ দিন তাপপ্রবাহ চলবে

‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট আদালতে জমা ইডির

নিউটাউনে পরিত্যক্ত বহুতল থেকে উদ্ধার যুবকের নিথর মৃতদেহ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর