24ºc, Haze
Thursday, 23rd March, 2023 3:36 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: কিছুদিন আগেই রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) দাবি করেছিলেন, ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী(Mithun Chakrabarty) নাকি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তাঁর সঙ্গে। তৃণমূল(TMC) যেন তাঁর ওপর রাগ না করে সেটাও দেখতে বলেছেন ফিরহাদকে। মেয়র এটাও দাবি করেন যে, মিঠুনের কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা রয়েছে। সেই কারণেই তিনি নাকি বিজেপিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই আরও বড় শোরগোল ফেলে দিলেন এবার খোদ বাঙালি ‘মহাগুরু’ই। এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তাঁর কন্ঠে ঝরে পড়ল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) প্রশংসা। আর তা দেখে আর শুনে এখন কপালে ভাঁজ পড়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) নেতাদের। তাঁদের ভেতর এখন গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে, তাহলে কী ‘মহাগুরু’ও তলে তলে তৃণমূলে ফেরার তোড়জোড় করছেন!
আরও পড়ুন সাভারকারকে পছন্দ করতেন না নেতাজি: অনিতা বসু পাফ
মমতাকে নিয়ে ঠিক কী বলেছেন মিঠুন? ‘ডিস্কোড্যান্সারের’ নায়ক জানিয়েছেন, মমতা দেশের সেরা ১০ জন রাজনীতিবিদের মধ্যে একজন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তাঁর মাস্টারস্ট্রোক। তাঁর দাবি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের সর্বকালীন সেরা ১০ জন রাজনীতিবিদদের মধ্যে ১জন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তাঁর মাস্টারস্ট্রোক। এই প্রকল্পে সাধারণ মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা, আর যাঁরা তফশিলি জাতি কিংবা উপজাতির, তাঁদের মাসে হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। কারা পান এই ভাতা? যাঁরা সরকারি বা বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন কিংবা পেনশন পান, তাঁরা ছাড়া সকলেই। তবে উপভোক্তার বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। সম্প্রতি উপভোক্তাদের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে বিধবাদেরও। কিন্তু পাঁচশো টাকায় সংসার চলে? চলে না। সেটা ম্যাডামও জানেন, আমরাও জানি। ৫০০ টাকা করে হলে বছরে ৬ হাজার টাকা, আর পাঁচ বছরে ৩০ হাজার টাকা। এই ৩০ হাজার টাকা একবারেই দিতে গেলে সমস্যা। সেজন্য ৫০০ করে। প্রত্যেক মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এটাই মাস্টারস্ট্রোক।’
আরও পড়ুন মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় মেঘালয়ে ইস্তাহার প্রকাশ অভিষেকের
মিঠুনের গলায় প্রশংসা ঝরে পড়েছে, অভিষেককে নিয়েও। জানিয়েছেন, ‘অভিষেক সুবক্তা। অনেক ভাষণ শুনেছি। শ্রোতাদের ধরে রাখতে পারে। কিন্তু অভিষেক স্যারকে একটাই কথা বলব, সঙ্গে কারা আছেন, তা দেখেই মানুষকে চেনা যায়। তাই চোখ-কান খোলা রাখুন। একটু চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। কার সঙ্গে উঠছে-বসছে, একটু ভেবেচিন্তে করতে হবে।’ মিঠুনের গলায় এইসব কথা শুনে এবার বঙ্গ বিজেপিতে রীতিমত গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন ফিরহাদ যে দাবি করেছেন তাঁকে ঘিরে সেটাই বোধহয় তাহলে সত্যি। তলে তলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ আছে তৃণমূলের। যে কোনওদিন ফিরতে পারেন তিনি জোড়াফুলে। যদিও ‘মহাগুরু’ নিজে এই বিষয়ে নীরব।