নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা(Bengal) দখলে আসা বিজেপির(BJP) নেতারা বার বার দাবি করে এসেছেন তাঁদের দল রেজিমেন্ট দল। তাই ব্যক্তি বিশেষকে তুলে ধরে তাঁরা রাজনীতি করেন না, ভোটেও নামেন না। নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) সেখানে অবশ্যই ব্যতিক্রম। কিন্তু রাজ্যে রাজ্যে ভোটের আগে বিজেপি কাউকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরে না। কিন্তু সেই ছক এবার ভেঙে দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী(Mithun Chakrabarty)। দল ক্ষমতায় আসবে কী আসবে না, এলেও কবে আসবে তার কোনও ঠিক ঠিকানা নেই, সেই অবস্থায় দিবাস্বপ্ন দেখতে দেখতে মিঠুন চক্রবর্তী নিজেকে বাংলার ভাবী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরলেন। সাফ জানালেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হলে ৬ মাসের মধ্যে গোটা সিস্টেম বদলে দেব।’ আর সূত্রে জানা গিয়েছে, মিঠুনের হেন দাবির জেরে রেগে ব্যোম বঙ্গ বিজেপির সেই সব নেতারা যারা নিজেদের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার হিসাবে তুলে ধরতে চান তাঁরা।
আরও পড়ুন ‘কালিঘাটের কাকু’ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র খুনি, অভিযোগ ভাগ্নির
শুক্রবার সল্টলেকের EZCC Auditorium-এ RSS’র ছাত্র-যুব সংগঠন AVBP’র একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন মিঠুন। সেখানে তাঁকে ডাকা হয়েছিল যাতে তিনি ওই ছাত্র-যুব সংগঠনের সদস্যদের কিছুটা ভোকাল টনিক দিতে পারেন যাতে তাঁরা বসে না যান, বিজেপির জন্য লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু হল তার বিপরীত। মিঠুন নিজেই সেখানে নিজেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসাবে তুলে ধরলেন যা বঙ্গ বিজেপির নেতাদের অস্বস্তি একলাফে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। যে দল রাজ্যের ৫০ শতাংশ বুথে গিয়ে পৌঁছাতে পারে না, রাজ্যের সিকি ভাগ বুথে দলের কমিটি গঠন করতে পারে না, প্রতি বিধানসভায় ১ হাজার দেওয়াল লেখার কর্মী পায় না, দলের মিটিং মিছিলে লোক জোগাড় করতে পারে না, ভোটে দলীয় প্রার্থীর জামানত বাঁচাতে পারে না তাঁরা কবে ক্ষমতায় আসবে সেটা অবশ্যই গবেষণার বিষয়। কিন্তু সেই ক্ষমতায় আসার আগেই যে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য দলে কোন্দল শুরু হ্যে গিয়েছে সেটা এদিন মিঠুন হাঠে হাঁড়ি ভেঙে বুঝিয়ে দিলেন।
আরও পড়ুন এবার কাকদ্বীপ, একমঞ্চে মমতা-অভিষেক
এদিন ঠিক কী বলেছেন মিঠুন? তিনি জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে প্রশাসন বলে কিছু নেই। সব ক্ষেত্রে ভরে গিয়েছে দুর্নীতি। মুখ্যমন্ত্রী হলে ৬ মাসের মধ্যে গোটা সিস্টেম বদলে দেব। গোটা রাজ্য দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির ছবি সামনে আসছে। গোটা সিস্টেম দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে, আর এমন পরিস্থিতিতেই গণআন্দোলন তৈরি হয়। তবে সেক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। গণআন্দোলন ছাড়া এ রাজ্যের কিচ্ছু হবে না। আমায় মুখ্যমন্ত্রী করে দিলে ৬ মাসের মধ্যে গোটা সিস্টেম বদলে দেব। পশ্চিমবঙ্গ আর এই পশ্চিমবঙ্গ থাকবে না। রাজ্যে শিক্ষা দুর্নীতিতে যে-ই ধরা পড়ুক না কেন, গোটা সিস্টেম যে দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে, সেটা বদলানো জরুরি।’ যদিও এখন তিনি নিজেই বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে গেলেন।