নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা আবহেই রাজ্যে চার পুরনিগমে নির্বাচন। সবঠিক থাকলে আগামী ২২ জানুয়ারি আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগর ও বিধাননগরে পুরভোট। কিন্তু করোনার কথা মাথাতে রেখেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করলেও উল্টো পথে হাঁটছে বিজেপি। আসানসোল, চন্দননগর কিংবা বিধাননগর সর্বত্রই বিধি ভেঙেই বেপরোয়া ভাবে প্রচার চালাচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতারা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্দেশিকা জারিই রয়েছে যে কোনও প্রার্থী পাঁচজনের বেশি কর্মী বা সমর্থক নিয়ে প্রচার করতে পারবে না। কিন্তু বিজেপির প্রচার কার্যত মিছিলে পরিণত হচ্ছে। খোদ বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষও একাধিক লোক নিয়ে প্রচার করছে। যদিও এটা তিনিই করবেন, বৃহস্পতিবার তেমনই হুঁশিয়ারি দিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘আমরা এখন নির্বাচন করতে বলিনি। বলেছিলাম, দু-মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক। দু-বছর যদি ভোট না করে থাকতে পারে, তাহলে দু-মাস পিছোলে কী অসুবিধা? মানুষ বাঁচলে তো গণতন্ত্র সফল হবে। এখন ভোট হলে হয় ৫০ শতাংশ লোক অসুস্থ হবে, অথবা, ভয়ে বেরোবে না। তাহলে ভোটের কী মানে! পুলিশ, সুরক্ষাকর্মী অসুস্থ হয়ে যাবে। ভোটকর্মীরা বেরোচ্ছে না, ব্যাপকহারে সংক্রমণ হচ্ছে। কারা সফল করবে ভোট? যদি তৃণমূল মনে করে করোনা পরিস্থিতে ভোট করে ফাঁকা মাঠে জিতে যাবে, সেটা বিজেপি হতে দেবে না। নির্ধারিত সময় ভোট হলে বিজেপিও রাস্তায় নেমে মিটিং-মিছিল করবে।’
যদিও করোনা কালে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট নিয়ে আজব যুক্তি দিয়েছেন বিজেপি নেতা। তিনি জানিয়েছেন, ‘বাকি পাঁচ রাজ্যে সরকার আগে থেকে কড়াকড়ি করেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে। তাই ভোট হবে।’