নিজস্ব প্রতিনিধি: শুধুই ভ্যাকসিন নয়, করোনা ঠেকাতে দূরত্ববিধি ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, এই কথা বারবার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাতেও হেলদোল নেই আমজনতার। কতকটা বেপরোয়া চরিত্রে দেখা যাচ্ছে আমজনতাকে। কিন্তু করোনা ঠিকই নিজের কাজ করে যাচ্ছে। হু হু করে কামড় বসাচ্ছে তিলোত্তমাবাসীর ফুসফুসে। তাই মহানগরের বাসিন্দাদের বিশেষ ‘টাস্ক’ দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দেন, ‘কলকাতায় মাস্ক আপ চালেঞ্জ’ শুরু করা হচ্ছে। এই শিরোনামের চ্যালেঞ্জ জিতলেই বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থাও থাকছে। মোট ১০০ জনকে বেছে নেওয়া হবে। কাউন্সিলররাই বেছে নেবেন। যারা মাস্ক ঠিকঠাক ব্যবহার করছেন এরকম নগরবাসীকে দেওয়া হবে পুরষ্কার।’
মূলত মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা’র উদ্যোগেই এই নতুন চ্যালেঞ্জ শুরু করছে কলকাতা পুরসভা। করোনার দুটি ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কলকাতা। তৃতীয় ঢেউ বইছে শহরে। তাতেও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই, ঢোলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে। তাই সাবধান হতেই নগরবাসীকে বারবার আর্জি জানাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু হুঁশ নেই আমজনতার। তাই এবার প্রতিযোগীতার মাধ্যমে নগরবাসীকে সচেতন করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একই পরিবারের কেউ জরুরি কাজে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন, কেউ হচ্ছেন না। ফলে, যারা মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন, তাঁদের থেকে তাঁরা-সহ পরিবারের বাকিদেরও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে। তাই, পথে বের হলেই সকলকে মাস্ক পরতে হবে। শহরের যে ব্যক্তি বেশি মাস্ক ব্যবহার করবেন তাদের মধ্যেই সেরা ১০০ জনকে বেছে নেওয়া হবে।
এই বিষয়ে শনিবার ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘বারবার অনুরোধ করার পরও বহু মানুষ মাস্ক পরছেন না। কিন্তু মাস্ক পরার অনুরোধ বন্ধ করব না আমরা। অনুরোধ চালিয়ে যাব। একই সঙ্গে ভোটে জিতে আসা নতুন কাউন্সিলরদের উদ্যোগে শহরবাসীকে মাস্ক পরাতে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হল। সেই চ্যালেঞ্জে জিতলে পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকছে। নতুন পদ্ধতিতে একশো পরিবারকে চিহ্নিত করা হবে। প্রয়োজনে ভার্চুয়ালি তাঁদের সঙ্গে নিজে কথা বলব। পুরসভার নিজস্ব পদ্ধতি ছাড়াও কলকাতা পুলিশের থেকে সিসিটিভি ফুটেজ যোগাড় করে বিজয়ী চিহ্নিত করা হবে।’