এই মুহূর্তে

অর্পিতার একাধিক কোম্পানির ‘সর্বেসর্বা’ অনেকেই, শুধু জানেন না মালিক তাঁরাই

নিজস্ব প্রতিনিধি: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (ARPITA MUKHERJEE) সঙ্গে যুক্ত ১২ টি কোম্পানির (COMPANY) হদিশ পেয়েছে ইডি (ED)। এর মধ্যে ৬ টি কোম্পানিতে কাজ করেন অর্পিতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা। আর তিনটির ডিরেক্টর অর্পিতা নিজেই। এমন ৩ টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যার ডিরেক্টর পদে যারা আছেন বা মালিকানা যাঁদের নামে আছে, তাঁরাই জানেন না তাঁরা ‘সর্বেসর্বা’ বলে!   

অর্পিতার বিনোদন সংস্থা ‘ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট’। কসবার ওই ফ্ল্যাটেও হানাও দেয় ইডি। তবে স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট’- এর ঠিকানা হিসেবে লেটার বক্সে যে ঠিকানা দেওয়া আছে, সেই ঠিকানা আদৌ অর্পিতাদের নয়। ওই ঠিকানা অভিযোগকারী ব্যক্তির ভাইয়ের। ওই ব্যক্তি বলেছিলেন, এই নিয়ে তিনি থানা ও ইডির কাছে অভিযোগ জানাবেন। এদিকে, ইডির কাছ থেকে অর্পিতার জামাইবাবু কল্যাণ ধর জানতে পেরেছিলেন তিনি না কি ওই সংস্থার জয়েন্ট ডিরেক্টর। তবে বিস্মিত হওয়ার পর তাঁর উত্তর ছিল, এসব তিনি জানেন না। তিনি ওই সংস্থার গাড়ির চালক। এও বলেছিলেন, তিনি প্রথমে ১০ হাজার টাকা বেতন পেতেন। পরে কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার ২ বছর পর আবার যোগ দিয়েছিলেন কাজে। তখন তাঁর বেতন বেড়ে হয়েছিল ১৮ হাজার ৯০০ টাকা।

অন্যদিকে, অর্পিতার নামে ৩ টি কোম্পানির মধ্যে ২ টি- সিমবায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ও সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড। এই ২ টি কোম্পানির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে একটি মেল আইডি। পুরো মেল আইডিটি, এআরপিমাইমেল অ্যাট জিমেল ডট কম। জানা গিয়েছে, অর্পিতার বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন হাইটসের ফ্ল্যাটের নথি দেখে এই মেল আইডির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, অনন্ত টেক্স ফ্যাব প্রাইভেট লিমিটেড বলে আরও একটি কোম্পানির খোঁজ পেয়েছেন আধিকারিকরা। তবে এই কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি অর্পিতা যুক্ত নন। কিন্তু এই কোম্পানির বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে ওই মেল আইডিটি। শুধু তাই নয়, বালিগঞ্জ প্লাস ইস্টে ৮ নম্বর যামিনী রায় সরণিতে একটি ৩ তলা বাড়ি ‘ভিউ মোর হাইরাইজ প্রাইভেট লিমিটেড’ বলে একটি সংস্থার ঠিকানা। এই কোম্পানিতেও ব্যবহার করা হয়েছে এই মেল আইডি।

ভিউ মোর হাইরাইজ কোম্পানির নথিতে রয়েছে, ওই কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর দেবাশীষ দেবনাথ। তবে তাঁর বাড়ি দেখলেই বোঝা যায় দেবাশীষ’ দের পরিবার নিম্নবিত্ত। তাঁর মায়ের দাবি, তিনি একাধিক বাড়িতে রান্নার কাজ করেন। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন তাঁর ছেলে। তবে ছেলের নামে আস্ত একটা কোম্পানি শুনে চমকে উঠেছেন মা। মা বলেন, ছেলে দেখাশোনা করেন না। সূত্রের খবর, দেবাশীষ জানেন তিনি মনোজ জৈন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে কাজ করেন। মানে বালিগঞ্জ প্লাস ইস্টে ৮ নম্বর যামিনী রায় সরণিতে ৩ তলা বাড়িতে। যার ঠিকানা ‘ভিউ মোর হাইরাইজ প্রাইভেট লিমিটেড’ কোম্পানির। আর এই অফিস যেই ঠিকানায় সেই বাড়ির মালিক মনোজ। এদিকে দেবাশীষ দেবনাথ খাতায় কলমে আরও একটি কোম্পানির ডিরেক্টর! সেই কোম্পানির নাম, জামিরা সানসাইন। এদিকে, ভিউ মোর হাই রাইজ কোম্পানি যে ঠিকানায়, সেই এলাকার কেউ জানেনই না ওই এলাকায় এ নামের কোনও কোম্পানি আছে বলে। আর ডিরেক্টররা যে ওই বাড়িতে থাকতেন বা যাতায়াত ছিল, তাও জানেন না এলাকাবাসীরাই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

চেতলার ছাতু ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার করল আয়কর দফতর

বরাহনগরের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা

সোমবার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে যাবে

কলকাতায় নতুন ছবির শুটিংয়ে এলেন কাজল ও রণিত রায়, যাবেন বোলপুরেও

স্বপনে জেরবার বিজেপি, বারাসত হয়ে যাচ্ছে আসানসোল

রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ীই কেরোসিন বরাদ্দ করবে কেন্দ্র, নির্দেশ হাইকোর্টের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর