এই মুহূর্তে




নব নালন্দা স্কুলে কাচ ভেঙে আহত পড়ুয়া, অভিভাবকদের সঙ্গে মঙ্গলেই বৈঠকে কর্তৃপক্ষ




নিজস্ব প্রতিনিধি: দক্ষিণ কলকাতার সাদার্ন অ্যাভিনিউ এলাকার নব নালন্দা স্কুলে কাচ ভেঙে গুরুতর জখম হয় দুই পড়ুয়া। ৪০টি সেলাই পড়ে এক পড়ুয়ার মাথায়। এরপর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকেরা। এবার এই ঘটনায় অভিভাবকদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক ডাকলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রিন্সিপাল অরিজিৎ মিত্র অভিভাবকদের আশ্বস্ত করে বলেন, “এটি একটি দুর্ঘটনা। স্কুলে রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট নজর রাখি। আগামী দিনেও রাখব। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর দায়িত্ব আমার। আপনারা কাল থেকে স্কুলে পাঠাতে পারেন বাচ্চাদের।”

এই ঘটনায় হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে প্রিন্সিপাল বলেন, চার তলার ৫০৩ নম্বর রুমে জানলাটি বন্ধ থাকে। আজ এক জন পড়ুয়া সেই জানলাটি খোলে। সেই সময় কাচ ভেঙে পড়ে। সেই সময় নীচে অষ্টম এবং নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রার্থনা চলছিল।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমরা অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। মঙ্গলবার থেকে ক্লাস স্বাভাবিক ভাবেই হবে। যে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, ওই জায়গায় নেট লাগাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে কোন‌ও বিপদ না ঘটে।”

প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ সার্দান অ্যাভিনিউ এলাকার ওই স্কুলে ঢুকছিল পড়ুয়ারা। প্রার্থনা শুরু হওয়ার ঠিক আগে স্কুল ভবনের উপর থেকে কাচ ভেঙে পড়ে পড়ুয়াদের উপরে। দৌড়ে আসে অন্য পড়ুয়ারা। ওই পড়ুয়াদের উদ্ধার করতে এগিয়ে যান পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে দিতে আসা অভিভাবকেরাও।জখম হন নবম শ্রেণির দুই পড়ুয়া। এক পড়ুয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও অন্য পড়ুয়ার আঘাত গুরুতর ছিল। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে ওই পড়ুয়ার নাম প্রিয়ম দাস। তার মাথায় চোট লেগেছে। প্রায় ৪০টি সেলাই করতে হয়েছে। গুরুতর ভাবে জখম ওই পড়ুয়া আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার স্কুলের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দেন অভিভাবকেরা।স্কুলের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকেরা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, স্কুলের নিজস্ব দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স আছে। রয়েছেন দু’জন চালক। সকালে দুর্ঘটনার সময় যে চালকের উপস্থিত থাকার কথা ছিল, অসুস্থতার জন্য তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে অন্য চালককে ডেকে পাঠানো হয়। অভিযোগ, তিনি আসতে দেরি করায় জখম পড়ুয়াকে ট্যাক্সি করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তার পরেই দেরি করে আসার জন্য চালককে শো-কজ় করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকদের বক্তব্য, স্কুলে ক্লাস চালু হয় সকাল ৭টা ১৫ থেকে। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পাওয়া যায় ৮টা থেকে। এর মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে গেলে কী হবে, সেই প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকেরা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জামতারা গ্যাংয়ের কোমর ভাঙতে অপারেশন ‘সাইবার শক্তি’ সিআইডির

নারকেলডাঙার তৃণমূল কাউন্সিলরকে শোকজ করে ৫ দিনের মধ্যে জবাব চাইল নেতৃত্ব

ফেসবুক পেজে তথ্য বদল! মেটাকে আইনি নোটিস অভিষেকের

বাড়বে কুয়াশার দাপট,ফের নামবে পারদ,কেমন থাকবে আবহাওয়া?

চারদিন বন্ধ মেট্রো, যাত্রীদের সমস্যা রুখতে বাড়তি বাস-ভেসেল নামাচ্ছে রাজ্য

ভোটার তালিকায় অনলাইনে নাম তোলা নিয়ে আপত্তি মমতার

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর