নিজস্ব প্রতিনিধি: মেডিক্যাল পরীক্ষার পর অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (ARPITA MUKHERJEE) বলেছিলেন, ‘মাকে একটু দেখবেন’। আর তা বলার পরেই চূড়ান্ত কটাক্ষের শিকার হলেন অর্পিতা। নেট দুনিয়া জুড়ে ভাইরাল মিম, ট্রোল। আবার উঠেছে কিছু পাল্টা প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ নিজে মাকে দেখতেন?
বিভিন্ন নেট মাধ্যমে অর্পিতাকে নিশানা করে বলা হয়েছে, এতদিন নিজে মাকে দেখেননি, এখন বলছেন মায়ের কথা?’ আবার কেউ বলছেন, ‘সুখের দিনে মাকে একা ফেলে গিয়েছিলেন’। কারও আক্রমণ, ‘আগেও মাকে দেখেননি। এই কথার পর বোঝা গেল আর দেখবেনও না’। কারও প্রশ্ন, এত বেআইনি টাকা দিয়ে নিজে কী করতেন? ঘরে তো নিজের মায়ের জন্যও কিছু করেননি। আবার বেশ কয়েকজন বলেছেন, মায়ের কথা ভাবলে প্রাপ্য কেন্দ্র সরকারের চাকরি করা উচিৎ ছিল। খাটতে হবে বলে করেননি।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি পেয়েও তা ছেড়ে দিয়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। বাড়ি থেকে বারবার বিয়ে দিতে চাওয়া হলেও বিয়ে করতে চাননি অর্পিতা। এমনটাই দাবি করেছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মা মিনতি মুখোপাধ্যায়। তাঁর মায়ের দাবি, নিচু তলার কিছু নেতৃত্ব এলেও বড় নেতৃত্ব আসেননি তাঁদের বাড়িতে। উল্লেখ্য, মেয়ে ও মা একই ঘরে থাকেন না।
মিনতি মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, অর্পিতার বাবা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী ছিলেন। সেই চাকরি পাওয়ার কথা ছিল অর্পিতার। সেই পদ রিজার্ভ ছিল দীর্ঘদিন। বারবার বলা হলেও সেই চাকরি করেননি অর্পিতা। তারপরেই মিনতি বলেছিলেন, তিনি সত্যি ঘটনা জানেন না। যা জেনেছেন টিভি দেখে। তারপরেই বলেন, সত্যি জেনে যা করার তিনি তাই করবেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, আজকালকার ছেলেমেয়েরা কথা শোনে না। বলেন, ‘আমার কথা শুনলে আমি তো বিয়েই দিয়ে দিতাম’।
তাঁর মা বলেছিলেন, অর্পিতা মডেলিং করতেন। সিরিয়াল করতেন। ওড়িয়া ও তামিল সিনেমাও করতেন। যুক্ত হয়েছিলেন টলিউডের সঙ্গে। উল্লেখ্য, নাকতলা উদয়ন সংঘের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর ছিলেন অর্পিতা। আরও জানা গিয়েছে, কাজের জন্য বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকতেন অর্পিতা। বাড়ি আসতেন মাঝে মধ্যে। মা থাকতেন একাই। তাঁর মায়ের বাড়ি গেলেই বোঝা যায়, সাধারণ জীবনযাপন অসুস্থ বৃদ্ধার। এত টাকা তাঁর মেয়ের, তা জেনে বিস্মিত মা নিজেই।