নিজস্ব প্রতিনিধি: হতে পারে তিনি ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’। হতে পারে তিনি এখন ইডির(ED) হেফাজতে। হতে পারে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ। কিন্তু তারপরেও তিনিই এখন বাংলার সব থেকে চর্চিত নাম। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattopadhay)। নেটিজেনরা কিছুই মানেন না। তাই তাঁদের চর্চার বিষয়বস্তুতেও কোনওদিন টান পড়ে না। এখন তাঁদের সব থেকে চর্চিত বিষয় অবশ্যই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়(Arpita Mukhopadhay) এবং এক জোড়া সেক্স টয়! হ্যাঁ এটা সত্যি যে অর্পিতার যে বাড়ি থেকে সেক্স টয়(Sex Toy) উদ্ধার হয়েছে সেখানে কেউ কোনওদিনও পার্থকে আসতে দেখেননি। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে যারা পার্থকে চেনেন, জানেন, তাঁর এটাও বিলক্ষণ জানেন চট্টোপাধ্যায়বাবু ঠিক কতটা ‘লেডি কিলার’ হিসাবে কুখ্যাত! হতেই পারে অর্পিতা তাতে সর্বশেষ সংযোজন। কিন্তু তার আগে কত কত অর্পিতা আর পার্থকে ঘিরে বাঙালির ড্রয়ংরুমে তর্কের ঝড় উঠেছে তার ইয়াত্তা নেই।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় যুবক বয়স থেকেই রাজনীতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর সেই সময় থেকেই তিনি ‘লেডি কি লার’ হিসাবে সুখ্যাতিও অর্জন করেছেন। এহেন মানুষ ক্ষমতার অলিন্দে এসে কাউকে কাউকে কাছে টেনে নেবেন না সেটা কী হতে পারে। তাই তো অনেকজনকে ঘিরেই তাঁর নাম জড়িয়েছে। তাঁদের কেউ অধ্যাপিকা, কেউ শিক্ষিকা, কেউ সরকারি আধিকারিক, কেউ বা জনপ্রতিনিধি। সবাই যে বিছানায় ঝড় তুলেছেন এমন কথা বলা হচ্ছে না, তবে সেক্স টয় হয়তো লাগেনি। নেটিজেনদের দাবি, পার্থ যে এখন বিশেষ গোপন কম্মে ব্যর্থ সেটা এতদিন শুধু ব্রহ্মাই জানতেন। অর্পিতার বাড়ির উদ্ধার হওয়া সেক্স টয় বলে দিচ্ছে সত্যিই লেডি কিলারের এবার হয়তো বয়স হয়েছে। ঘোড়া আর দৌড়াতে পারছে না। তাই সেক্স টয়। কিন্তু এটাও ঘটনা লেডি কিলার ধরা পড়ে গেলেন ইডির হাতে সেও এক লেডির জন্য। অতএব যে সব লেডি কিলাররা এখন ময়দান কাঁপাচ্ছেন তাঁরা কিন্তু এবার সাবধান হয়ে যান। ভুলে যাবেন না, কোথাও গিয়ে একটা থামতেই হবে, নাহলেই কিন্তু পার্থ হয়ে যেতে হবে। তখন নিত্যদিনই ব্যর্থ হতে হবে।