এই মুহূর্তে




বাংলাদেশ নিয়ে কোনও আলটপকা মন্তব্য নয়, মন্ত্রীদের কড়া নির্দেশ মমতার

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই প্রথম বার্তা দিয়েছিলেন তিনি জানিয়েছিলেন, ‘যদি অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়ে তবে আমরা আশ্রয় নিশ্চয় দেব। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটা নির্দেশ আছে, কেউ যদি শরণার্থী হন, তবে তার পাশের এলাকা সম্মান জানাবে। এটুকু আশ্বাস দিতে পারি। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও উত্তেজনায় না জড়াই। সহমর্মিতা রয়েছে। বাংলাদেশে(Bangladesh) যদি আপনাদের কোনও পরিবার থাকে, পরিজন থাকে, কেউ পড়াশোনা করতে যান, চিকিৎসা করাতে এসে ফিরতে না পারেন, যদি কোনও সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, আমাকে বলবেন। কেউ যদি রিফিউজি হয়ে যায়, পার্শ্ববর্তী এলাকা সম্মান জানাবে। তবে একটা কথা বলছি, বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনায় না যাই, কোনও প্ররোচনায় পা না দিই। ছাত্রছাত্রীদের প্রাণ যাচ্ছে। যারই রক্ত ঝরুক তাঁদের জন্য সহমর্মিতা রয়েছে। আমরা দুঃখ পেয়েছি। খবর রাখছি। আমাদের সহমর্মিতা, দুঃখ থাকবে।’ তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে বিজেপি আক্রমণ করতে ছাড়েনি। তিনি কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। এদিনও দলের মন্ত্রীদের সাফ নির্দেশ দিলেন তিনি, বাংলাদেশ নিয়ে কোনও আলটপকা মন্তব্য নয়। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।

আরও পড়ুন শুভেন্দুর অবস্থান ভাবাচ্ছে বিজেপিকে, বঙ্গে কার্যত দুই ভাগ পদ্মশিবির

এদিন রাজ্য বিধানসভাতেই বসেছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী দলের মন্ত্রীদের জানিয়ে দেন, বাংলাদেশ নিয়ে কোনও আলটপকা মন্তব্য করা যাবে না। ঘটনাচক্রে এদিন দুপুরেই বাংলাদেশে গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে সে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে এসেছেন শেখ হাসিনা। আসার আগে দিয়ে এসেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফাও। এখন তিনি শুধুই আওয়ামী লীগের নেত্রী এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। মমতার সঙ্গে হাসিনার সম্পর্ক বরাবরই বেশ ভালো। মমতা তাঁকে ‘বড় দিদি’ বলে যেমন সম্বোধন করেন তেমনি হাসিনাও মমতাকে ‘ছোট বোন’ বলেই সম্বোধন করেন। তবে গঙ্গা-তিস্তা জলবন্টন চুক্তি নিয়ে কোনওদিনই দুই নেত্রী ঐক্যমত্যে আসতে পারেননি। এদিন হাসিনার ক্ষমতা হারানোর ঘটনা মমতার রাজনৈতিক জীবনে কোনও প্রভাব না ফেললেও আগামী দিনে তিনি এক কঠিন পরিস্থিতির মুখে দাঁড়াতে পারেন যদি এপার বাংলায় ওপার বাংলা থেকে লাখে লাখে মানুষ এসে আশ্রয় নেন তাহলে। পশ্চিমবঙ্গের(West Bengal) পক্ষে এই লাখো শরণার্থীর ভার বহণ করা সম্ভব নয়। আবার মমতা নিজেও জানিয়ে দিয়েছেন, এদের তিনি ফেরাতেও পারবেন না। ঘটনাচক্রে বিজেপি এবং কেন্দ্র সরকার মমতার এই অবস্থানের বিরোধিতা করলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই এদিন দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)।

আরও পড়ুন গিরি পতনের পরেই শুভেন্দুকে গুরুত্ব মমতার, ৩ বছর পর নাম নিলেন মুখে

হাসিনার ক্ষমতা হারা হওয়ার পরে পরেই এদিন রাজ্য বিধানসভা ভবন চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু জানিয়ে দেন, ‘১ কোটি শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আসবে। আপনারা তৈরি থাকুন। আমি তো তৈরি আছি। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে বলব, কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলুন। CAA-তে পরিষ্কার বলা আছে, ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে কেউ এলে, তাঁকে আশ্রয় দিতে হবে। ৩ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে তাহলে ১ কোটির বেশি হিন্দু শরণার্থীকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকুন। যার যেখানে জায়গা আছে, হিন্দু ভাইদের রাখার জন্য প্রস্তুত থাকুন।’ এদিন হাসিনার ঢাকা ছাড়ার পরে পরেই বন্ধ হয়ে গেল পেট্রাপোল সীমান্তে বাণিজ্য। বন্ধ যাত্রী চলাচলও। ওদেশে আটকে থাকা ট্রাক চালকদের দ্রুত এদেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। বেনাপোলে এদিন দুপুরে হাজার হাজার আন্দোলনকারীদের জমায়েত করতে দেখা যায়। আবার বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতির কারণে পেট্রাপোলে বাড়তি সেনা মোতায়ন করা হয়েছে ভারতের তরফে। সীমান্তে চলছে কড়া নজরদারি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নিল রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল

বুধবার সন্ধ্যায় নবান্ন’র সভাঘরে মুখ্য সচিবের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক

১০ বছরে সিবিআই ব্যর্থতা নিয়ে সরব অভিষেক, দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার পরামর্শ

বৈঠকে বসতে ফের মুখ্যসচিবকে ইমেল পাঠাল জুনিয়র চিকিৎসকেরা

ফের আক্রান্ত পুলিশ, বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে ট্র্যাফিক সার্জেন্টকে বেধড়ক মারধর

মেঘালয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের নাম সুপারিশ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর