এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

যে যেখানে শক্তিশালী, সেখানে তাকে জমি ছাড়ুন, মমতার তত্ত্বে সায় থারুর

নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলনেত্রী যে কথা বলে আসছেন এবার সেই কথাই প্রকাশ্যে বার্তা হিসাবে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে পাঠিয়ে দিলেন কংগ্রেসেরই নেতা শশী থারুর(Sashi Tharur)। ২০২৪’র লড়াইয়ে বিজেপিকে হারাতে যে মমতার দেখানো পথে হাঁটা ভিন্ন দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই সেটা মানছেন এই কংগ্রেস নেতা। যদিও তাঁদের এই বার্তা কংগ্রেস(INC) নেতৃত্ব আদৌ পাত্তা দেবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) আগেই জানিয়েছেন, বিজেপিকে হারাতে হলে যে যেখানে শক্তিশালী সেখানে তাঁকেই জমি ছেড়ে দেওয়া হোক। কংগ্রেস বা অন্য কোনও বিজেপি(BJP) বিরোধী দল সেখানে যেন ভোট ভাগ করতে না যায়। যদিও সেই তত্ত্বে কংগ্রেস বা বামেরা সায় দেয়নি। তবে এখন যখন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে(Mallikarjun Kharge) বিরোধী ঐক্য নিয়ে অন্যান্য বিরোধী দলের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছেন ঠিক সেই সময়ে শশী তারুর, প্রকাশ্যে সওয়াল করলেন মমতার দেখানো পথ নিয়ে যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

আরও পড়ুন জঙ্গলমহলে প্রত্যাহার কুড়মি আন্দোলন, স্বস্তিতে আমজনতা

কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে দেশের সব রাজ্যে যে আসন বন্টন করে জোট গড়া সম্ভব নয় সেটা মমতা আগেই উপলব্ধি করেছিলেন। একই সঙ্গে বিজেপি বিরোধী এই লড়াইয়ে যে কংগ্রেস ক্রমশ জমি হারাচ্ছে আর সেই জমি যে আঞ্চলিক দলগুলির দখলে চলে যাচ্ছে সেটা মমতা আগেই তুলে ধরেছেন জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে। কার্যত কংগ্রেসের নেতারা মুখে আর যাই দাবি করুক না কেন, কংগ্রেস যে আর বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় নেই সেটা নানা রাজ্যে এখন ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। আর তাই মমতা চেয়েছিলেন যে রাজ্যে যে বিজেপি বিরোধী শক্তিশালী দল আছে সেই রাজ্যে সেই লড়াই করুক বিজেপির বিরুদ্ধে। বিশেষ করে যে সব রাজ্যে কংগ্রেস দুর্বল, সেখানে অন্য দলকে সোনিয়া গান্ধি – রাহুল গান্ধির দল জায়গা ছেড়ে দিক, যাতে বিজেপি-বিরোধী ভোটে বিভাজন না হয়। একই ভাবে যে সব রাজ্যে সরাসরি বিজেপি বনাম কংগ্রেসের লড়াই, সেখানে অন্য আঞ্চলিক দল গিয়ে বিরোধী ভোটে ভাগ বসাবে না। এখন শহী থারুর কার্যত সেই দাবিকেই আবারও সামনবে নিয়ে চলে এলেন।

আরও পড়ুন উত্তরের মাটি ধরে রাখতে ৫ ব্রহ্মাস্ত্রে বাজি মোদির

তবে শুধু শশী নন, এই একই সুরে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন মণীশ তিওয়ারি, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির মতো অন্য কংগ্রেস নেতারাও। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনে দেখা গিয়েছে, বিজেপি দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পাচ্ছে না। কিন্তু বিরোধী ভোটের বিভাজনের ফলেই বিজেপি বেশির ভাগ রাজ্যেই জিতে যাচ্ছে। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ২০০টির মতো আসনে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের সরাসরি লড়াই। গত লোকসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ২০২৯ সালে কংগ্রেস মাত্র ৫২টি আসন জিতেছিল। এখন তাই সব থেকে বেশি প্রয়োজন এই ৫৪৩টি আসন ধরে ধরে খতিয়ে দেখা, কোন আসনে কোন অ-বিজেপি দলের জেতার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। সেখানে অন্য কেউ ভোটে ভাগ বসাবে না। এটা করা গেলেই বিরোধী ঐক্য বাস্তবায়িত হবে। এমনটাই দাবি শশীর। মণীশ তিওয়ারির যুক্তি, এই কাজটা রাজ্য স্তরে সব থেকে ভাল ভাবে করা সম্ভব। রাজ্য স্তরেই আসন সমঝোতা বা বোঝাপড়া সেরে ফেলতে হবে। জাতীয় স্তরে জোট করতে হলে ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি করতে হবে। তাতে অনেক মতাদর্শগত বিরোধ চলে আসবে। সে সব মেটাতে সমস্যা হবে। এ সবের মধ্যে না গিয়ে শুধুমাত্র ‘কেন্দ্রে সরকার পরিবর্তন দরকার’— এইটুকু ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়েই বিরোধীদের এককাট্টা করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজনে কংগ্রেসকে এক পা পিছিয়ে দাঁড়াতে হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

রেকর্ড গরম কলকাতায়, ৫০ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

আলিপুর চিড়িয়াখানায় নতুন সদস্য, বিশাখাপত্তনম থেকে এল সাদা বাঘ

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দিন চলবে অতিরিক্ত মেট্রো, জেনে নিন সময়সূচি

২৬ হাজার চাকরিহারা পাবেন এপ্রিল মাসের বেতন, জানাল শিক্ষা দফতর

২ মাসের মধ্যে ৮৬৭ শূন্যপদে দিতে হবে চাকরি, প্রাথমিকে নিয়োগে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর