নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হওয়া, এই মারাত্মক সমস্যায় ভোগেন ভারতের(India) প্রতি ৬ জন কিডনি রোগীর মধ্যে ১জন করে। এই অসুখে শরীরেরই ‘A’ Antibody শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করে। ইউরিনে(Urine) প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। বেড়ে যায় ক্রিয়েটিনিনও। রোগীর প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বেরতে থাকে। কারও কারও তা না-হলেও মাইক্রোস্কোপে দেখলে ইউরিনে ব্লাড মেলে। শেষমেশ কিডনি(Kidney) প্রতিস্থাপন বা ডায়ালিসিস ছাড়া গতি থাকে না। অবশেষে এই ছবির বদল ঘটতে চলেছে। কেননা আইজিএ নেফ্রোপ্যাথি নামে দুরারোগ্য এই কিডনির অসুখের ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে এবং সেই ওষুধের সফল ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে কলকাতারই(Kolkata) NRS Medical College and Hospital-এ।
আরও পড়ুন দেওয়াল লেখার কর্মী নেই, বিজেপি খুঁজছে ভাড়াটে শিল্পী
আইজিএ নেফ্রোপ্যাথি নামে দুরারোগ্য এই কিডনির অসুখের প্রতিষেধক খুঁজতে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চলছিল। পৃথিবীব্যাপী চলা এই গবেষণায় শরিক হয়েছে বাংলাও। NRS Medical College and Hospital’র নেফ্রোলজি বিভাগ অংশ নিয়েছিল সেই গবেষণাতেও। ঠিক হয়েছিল এই রোগের ওষুধ আবিষ্কার হলে তার একটি ট্রায়াল হবে এই হাসপাতালে। সেই ওষুধ তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে NRS Medical College and Hospital’র নেফ্রোলজি বিভাগে ভর্তি ২-১জন রোগীর ওপর তা প্রয়োগও করা হয়। দেখা যায় সেই ওষুধ রীতিমত সফল হয়েছে রোগ সারানোর ক্ষেত্রে। এই হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ পিনাকী মুখোপাধ্যয় জানিয়েছেন, ‘ভারতে এই রোগটি অত্যন্ত আগ্রাসী রূপ নেয়। দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ওষুধের ফেজ থ্রি ট্রায়ালে যথেষ্ট ভালো ফল পেয়েছি আমরা। ইউরিনে প্রোটিন ইউরিয়া নিঃসৃত হওয়া নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়াও কমেছে। আখেরে রোগী ও মানবসভ্যতার লাভ হলে সবচেয়ে খুশিই হব আমরা।’